Tunisia Crisis: আরব বসন্তকে পথ দেখিয়েও ফের সংকটে তিউনিশিয়া
Tunisia Politics: একদিকে এখানকার মানুষ রুটি-রুজির জন্য চিন্তিত, অন্যদিকে এখানে রাষ্ট্রপতির অপকর্মের কারণে খবরের শিরোনামে। এক সপ্তাহ পর তিউনিসিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনের কারণ সেখানে রাষ্ট্রপতির করা সাংবিধানিক পরিবর্তন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিউনিসিয়া এমন একটি দেশ যা গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে এসেছে। প্রথমটি ফুটবল বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্সের কারণে। কাতারের বিশ্বকাপের ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে তারা। এর পাশাপাশি এই দেশ আজকাল যে কারণে আলোচনায় রয়েছে তা হলো এখানকার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। প্রায় এক দশক আগে যে দেশটি ছিল 'আরব বসন্ত' (আরব বিপ্লব) এর জনক। যেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশ স্বৈরাচারের অবসানের জন্য সোচ্চার হয়েছিল, আজ সেই একই দেশ আবারও পুরনো পথে ফিরছে। একদিকে এখানকার মানুষ রুটি-রুজির জন্য চিন্তিত, অন্যদিকে এখানে রাষ্ট্রপতির অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসছে।
ফের স্বৈরাচারের দিকে যাচ্ছে দেশ
এক সপ্তাহ পরে তিউনিসিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মূলে রয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতির করা সাংবিধানিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের কারণে আবার নির্বাচন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এর বিরুদ্ধে মত পোষণ করেছে। দেশের জনতা মনে করে, রাষ্ট্রপতি যে পরিবর্তন করেছেন তা শুধুমাত্র নিজেকে শক্তিশালী করতেই করেছেন। এসব নীতিতে শুধু জনগণই কষ্ট পাবে না, দেশের সংসদও দুর্বল হয়ে পড়বে। তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি কাইস সাঈদ সংসদ ভেঙে দিয়ে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: যৌনতা নিয়ে হঠাৎ কীসের আতঙ্কে এবার দেশ জুড়ে সকলকে বিনামূল্যে কন্ডোম...
এরপর থেকে তিনি নিজেই ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন। এই বছর বহু সাংবিধানিক পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতির পদকে আগের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছেন তিনি। এখন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। তিউনিসিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি, কাইস সাঈদ, কয়েক বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক বেন আলীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর ২০১৯ সালে এই পদে বসেন। তৎকালীন সংবিধান অনুযায়ী সাঈদকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হতো। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার দুই বছর পর হঠাৎ করে সংসদ স্থগিত করে দেন সাঈদ।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে বাধ্য হয়ে 'জিরো কোভিড পলিসি' থেকে সরে এল চিন...
১ বছর ধরে টানা বাড়ছে দাম
তিউনিসিয়ার জনগণ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতিতে বিপর্যস্ত। তিউনিসিয়ায় গত ১২ মাস ধরে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর থেকে এখানকার পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা অনুমান করা যায়। চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ১০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
পাওয়া যাচ্ছে না খাবার
এ ছাড়া তিউনিসিয়ায় বেকারিতে কর্মরত হাজার হাজার মানুষ বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করছেন। আগে সরকার বেকারিতে ভর্তুকি দিত, কিন্তু এখন তাও বন্ধ রয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। এদেশে ক্রমাগত খাবারের ঘাটতি রয়েছে। মানুষের সামনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এই কারণে এখানে প্রতিনিয়ত মানুষ প্রতিবাদ করছে।