সিরিয়ায় রাসয়নিক আক্রমণ নিয়ে কড়া অবস্থান রাষ্ট্রসঙ্ঘের

সিরিয়ায় রাসায়নিক আক্রমণ নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। অবিলম্বে তদন্ত শুরু করতে হবে ওই ঘটনার। গতকালই স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন। এদিকে সিরিয়ার ঘটনার ওপর নজরদারি শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আসাদ সরকার গোটা ঘটনার পিছনে থাকলে এর ফল ভাল হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সুর চড়িয়েছে ফ্রান্সও। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী।

Updated By: Aug 23, 2013, 09:35 AM IST

সিরিয়ায় রাসায়নিক আক্রমণ নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। অবিলম্বে তদন্ত শুরু করতে হবে ওই ঘটনার। গতকালই স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন। এদিকে সিরিয়ার ঘটনার ওপর নজরদারি শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আসাদ সরকার গোটা ঘটনার পিছনে থাকলে এর ফল ভাল হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সুর চড়িয়েছে ফ্রান্সও। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী।
নিজের দেশের বাসিন্দাদের ওপরেই রাসায়নিক হামলা? অভিযোগের তির যত তীক্ষ্ণ হচ্ছে, ততই সুর চড়াচ্ছে গোটা বিশ্ব। গোটা ঘটনার পিছনে কি রয়েছে বাশার আল আসাদ সরকার? উত্তরটা দ্রুত খুঁজে পেতে চাইছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আর সেই কারণেই তদন্তের কাজটা যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, সেজন্য সিরিয়া সরকারকে ইতিমধ্যেই চাপ দিতে শুরু করেছে তারা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পাঠানো হচ্ছে নিরস্ত্রীকরণ বিভাগের প্রধান অ্যাঙ্গেলা কানেকে।
সিরিয়া সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অস্ত্র পরীক্ষকদের যেন সেদেশে ঢুকতে কোনওরকম বাধা না দেওয়া হয়। কিন্তু, অনড় আসাদ সরকার। রাসায়নিক হামলার গোটা বিষয়টা বিপক্ষের দিকে ঠেলে দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের পথ খুঁজছে তারা। এদিকে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ঘটনার পিছনে আসাদ সরকারেরহাত থাকলে ফল ভালো হবে না বলে ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে হোয়াইট হাউস।
যে কোনও রকম রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না বলে গতবছরই জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই এবার সিরিয়া নিয়ে রীতিমতো গলা ফাটাতে শুরু করেছে আমেরিকা। ফ্রান্সের সুর আরও চড়া। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মতো হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীর গলায়। সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইজরায়েল, তুরস্ক এবং জার্মানিও।

.