Bangladesh Quota Andolon: ‘ছাত্রদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না’, হাসিনার চাপ বাড়িয়ে বিবৃতি রাষ্ট্রপুঞ্জের
Bangladesh Quota-Protest: এবার বাংলাদেশে পড়়ুয়াদের উপর হামলার কড়া নিন্দা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক শুক্রবার, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
![Bangladesh Quota Andolon: ‘ছাত্রদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না’, হাসিনার চাপ বাড়িয়ে বিবৃতি রাষ্ট্রপুঞ্জের Bangladesh Quota Andolon: ‘ছাত্রদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না’, হাসিনার চাপ বাড়িয়ে বিবৃতি রাষ্ট্রপুঞ্জের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/07/20/484081-unbangla.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বদল আনতে হবে, এই দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি গোটা বাংলাদেশে। কোটা নয়, মেধার ভিত্তিতে চাকরি। এই দাবিতে সরব গোটা বাংলাদেশ। কিন্তু অধিকারের লড়াই লড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অনেক তরুণ-তরুণী। তকমা জুটেছে 'রাজাকার', আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। গোটা দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এবার বাংলাদেশে পড়়ুয়াদের উপর হামলার কড়া নিন্দা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক শুক্রবার, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক একটি বিবৃতিতে বলেন, 'বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে । আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।'
এই ধরনের হামলাকে বিস্ময়কর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভলকার ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর কারা হামলা চালাল, তা খুঁজে বার করা প্রয়োজন। এর জন্য অবিলম্বে নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা দরকার।
পুলিসের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাই শুক্রবার রাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করা হয়। শেষপর্যন্ত, নামানো হয় সেনা। প্রসঙ্গত, চাকরিতে সব ধরনের সংরক্ষণ বাতিল করার দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের জন্যও কিছু সংরক্ষণ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। বলা হয়, মোট নিয়োগের ৪০ শতাংশ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারী এবং ১০ শতাংশ নিয়োগ জেলার বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। নিজের অধিকার আদায়ের জন্যেই রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)