নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একবার বাড়তি শুল্ক নিয়ে ভারতের সমালোচনায় সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে শুল্ক লড়াইয়ে কার্যত কোনঠাসা হয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্মেলন শেষ হতেই জি-৭ বৈঠকের ঘোষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এ দিন মার্কিন পণ্য আমদানির উপর মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপানোয় ভারতের সমালোচনাও করেন ট্রাম্প।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি ট্রাম্পের!


নিজের দেশকে ‘পিগি ব্যাঙ্কের’ সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্প বলেন, যে যেমন পারবে, আমেরিকাকে লুঠ করবে, এটা চলবে না। ভারত বেশ কিছু পণ্যে ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে। সেখানে আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করিনি। এই বৈষম্য হতে পারে না। এই পদক্ষেপকে অনৈতিক বলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরও দাবি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই ধরনের বৈষম্য বন্ধ হওয়া উচিত। যদি তা না হয়, তাহলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটবে হোয়াইট হাউজ। এটাই হবে সবচেয়ে 'লাভজনক উপায়'।


আরও পড়ুন- কিমের কয়েক ঘণ্টা পরেই সিঙ্গাপুরে পৌঁছলেন ট্রাম্প-ও


রবিবার, জি-৭ সম্মেলন শেষ করেই কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর মাঝপথেই টুইটে জি-৭-এ কানাডার অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। টুইটে লেখেন, বৈঠক চলাকালীন ট্রুডো চুপ করে ছিলেন। শুল্ক নিয়ে কোনও কথা বলেননি। চলে যেতেই  সাংবাদিক বৈঠক করে আমেরিকার সমালোচনা করছেন ট্রুডো! এ ধরনের আচারণ দুর্বল এবং কাপুরুষের পরিচয়। প্রসঙ্গত, কানাডার রপ্তানি করা ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর চড়া শুল্ক চাপায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মিত্ররাষ্ট্রের প্রতি এ হেন আচরণে কড়া সমালোচনা করেন জাস্টিন ট্রুডো। নিজের দেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্য দেশগুলির সামনে কানাডার  এই সমস্যা তুলে ধরাটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শুধুই কানাডা নয়, মেক্সিকো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির উপরও বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।


আরও পড়ুন-  পাক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ‘হাত মেলালেন’ নরেন্দ্র মোদী


উল্লেখ্য, গত বছর হার্ডলে ডেভিডসন মোটরসাইকেলের উপর চড়া আমদানি শুল্ক চাপানোয় ভারতের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এরপরই ভারত ৭০ শতাংশ থেকে ৫০-এ নামিয়ে আনে শুল্কের হার। তাতেও সন্তুষ্ট হতে দেখা যায়নি মার্কিন প্রেসি়ডেন্টকে। 'পারস্পরিক শুল্কে'র দাবি করেন তিনি। অর্থাত্ ভারতে নির্মিত মোটরসাইকেল বিনা আমদানি শুল্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হলে, তাদের পণ্যও ভারতের বাজারে একই নিয়মে বিক্রি করতে হবে বলে দাবি ট্রাম্পের।