নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় পূর্ণ সমর্থন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বুধবার সেদেশের বিদেশসচিব ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে এমনটাই জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবরে ‘তাসের ঘরের’ মতো ধসল পাক শেয়ার বাজার


ওইদিন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পেম্পোর সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ফোনে কথা হয়। তবে মার্কিন প্রশাসন চায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া এই পরিস্থিতি যাতে দ্রুত শেষ হয়। কারণ, দু'দেশের মধ্যে এই সামরিক টানাপোড়েন আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করবে।


তবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণে ভারতের সমস্ত পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে মার্কিন প্রশাসন। কারণ, তারা মনে করে পুলওয়ামার সাম্প্রতিক ঘটনা জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে।


আরও পড়ুন: জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে ‘অর্থবহ পদক্ষেপ’ করার হুঁশিয়ারি আমেরিকার


তাই এই পরিস্থিতির দিকে মার্কিন প্রশাসনের কড়া নজর রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে তারা মনে করে, তাই পাকিস্তানের উচিত রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশ মেনে সেদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে মুছে দেয়।


এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন স্রিংলা। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সন্ত্রাসবাদ দমনে সবরকম পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত। কোনভাবেই পিছিয়ে আসা হবে না। পাকিস্তানেরও সন্ত্রাসবাদ দমনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত বলেই তিনি মত প্রকাশ করেছেন।


প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায়। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন অনেকে। ওই ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে আসমুদ্র-হিমাচল। সকলেই পুলওয়ামর ঘটনার বদলার দাবিতে সরব হন।


আরও পড়ুন: বাধ্য হয়েই পাক মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, চিনকে জানালেন সুষমা স্বরাজ


পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের যেহেতু পাকিস্তান সাহায্য করে তাই ভারত সরকার প্রথমেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন যে সেনাবাহিনীকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।


পুলওয়ামার ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দেয় ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।


আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ভারতের প্রত্যাঘাতে বাচ্চা ছেলের মতো আচরণ আতঙ্কিত পাক প্রধানমন্ত্রীর


সেই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার পাকিস্তানের তিনটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে ভারতের আকাশে। সেগুলিকে তাড়িয়ে দেয় ৬টি মিগ-২১।


এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের একটি মিগ-২১। সেই বিমানের পাইলটকে ধরে রেখে পাকিস্তান। এখন ভারত সেই পাইলটকে ফেরাতে মরিয়া। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাওয়া ভারতের বড় সাফল্য বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।