ওয়েব ডেস্ক : আন্টার্কটিকার নীচে আগ্নেয়গিরির সন্ধান। একটি-দুটি নয়, ৯১টি। হঠাত্‍ যদি অগ্নুত্‍পাত ঘটে, তখন? আন্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ চলে যাবে জলের নীচে। ধ্বংসের অশনি সঙ্কেত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জল আর আগুনের সহাবস্থান কি সম্ভব? আলবাত সম্ভব। ওই যে কথায় আছে না, ছাই চাপা আগুন। এটা ঠিক তেমনটা নয়। এ হল বরফচাপা আগুন।


আরও পড়ুন- স্পেন, ফিনল্যান্ডের পর এবার জঙ্গি হামলা রাশিয়ার সারগাট শহরে, আহত ৯


অকুস্থল পশ্চিম আন্টার্কটিকা। বিপুল বরফের নীচে একসঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, এগুলি তুলনামূলকভাবে নতুন। কোনও দিনই দিনের আলো দেখেনি। এ যে গভীর বিপদের ইঙ্গিত। যদি অগ্নুত্‍পাত হয়, তাহলে ধস নামবে বরফস্তরে। যার জেরে বাড়তে পারে জলস্তর। ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ চলে যেতে পারে জলের তলায়। যদিও কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ৯১টি আগ্নেয়গিরি সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই মুহূর্তে জেগে ওঠার সম্ভাবনা কম।


এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্নুত্‍পাত এড়ানো কঠিন হবে। আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪০০০ মিটার। আগ্নেয়গিরিগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ থেকে ৪০০০ মিটার পর্যন্ত। ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু বরফের নীচে ঢাকা রয়েছে আগ্নেয়গিরিগুলি। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


গবেষকরা বলছেন, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলির প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রয়েছে। নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে। এটাই স্বস্তির খবর।