ILS ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিমান অবতরণ করে চমকে দিলেন জার্মানির ইঞ্জিনিয়াররা
মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, টেস্ট পাইলট থমাস উইমারের হাত বিমানের কন্ট্রোল স্টিকে নেই। রানওয়েতে নেই স্বয়ংক্রিয় অবতরণে সহায়তাকারী কোনও যন্ত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পথ দেখানোর জন্য রানওয়েতে বসানো যন্ত্রপাতি ছাড়াই জার্মানিতে স্বয়ংক্রিয় অবতরণ করল একটি ছোট বিমান। বিশ্বে এই প্রথম। নিখুঁত অবতরণ করে গোটা বৈমানিক বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই খবর।
বিমানের স্বংয়ক্রিয় অবতরণ কোনও নতুন ঘটনা নয়। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ংক্রিয় অবতরণ করছে বিমান। তবে সেজন্য রানওয়েতে বসাতে হয় বিশেষ যন্ত্রপাতি। যার পোশাকি নাম ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম। এই ব্যবস্থা তৈরি করতে খরচ হয় মোটা টাকা। তাই বড় বিমানবন্দর ছাড়া এই সুবিধা মেলে না। সেক্ষেত্রে বিমান অবতরণ করাতে হয় পাইলটকে। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ILS ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় অবতরণ করতে পারবে বিমান।
জার্মানির মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে তৈরি এই প্রযুক্তিতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিমান অবতরণ করিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন গবেষকরা। নতুন এই প্রযুক্তিতে মানুষের চোখের মতোই রানওয়েকে চিহ্নিত করবে বিমানের কম্পিউটার। সেজন্য একটি ডায়মন্ড ডিএ ৪২ বিমানের সামনে লাগানো হয়েছে সাধারণ ও ইনফ্রারেড ক্যামেরা। নতুন এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন C2Land.
বিশ্বকাপ মিটলেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি? জন্মদিনে জোর জল্পনা
মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, টেস্ট পাইলট থমাস উইমারের হাত বিমানের কন্ট্রোল স্টিকে নেই। রানওয়েতে নেই স্বয়ংক্রিয় অবতরণে সহায়তাকারী কোনও যন্ত্র। শুধুমাত্র ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করে রানওয়ে চিহ্নিত করে অবতরণ করে বিমানটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তি আগামী দিনে বিপ্লব আনবে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ILS না থাকায় ছোট বিমানগুলি পাইলটদেরই অবতরণ করাতে হয়, সেখানে অনেক নিরাপদ হবে অবতরণ।