ভোপালের আন্দোলনকারীদের উপর ডাও কেমিক্যালসের নজরদারি ফাঁস উইকিলিক্সে
লন্ডন অলিম্পিকের আগে নয়া বিতর্কে জড়াল ডাও কেমিক্যালস। সৌজন্য উইকিলিক্স!
লন্ডন অলিম্পিকের আগে নয়া বিতর্কে জড়াল ডাও কেমিক্যালস। সৌজন্য উইকিলিক্স!
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নানা গোপন যোগাযোগের প্রায় ৫ লক্ষ নথি ফাঁস করেছে জুলিয়েন অ্যাসাঞ্জের সংস্থা। আর তার অনেকগুলিতেই রয়েছে ভোপাল গ্যাসকাণ্ডে জড়িত ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রাক্তন সত্ত্বাধিকারী সংস্থার নাম। ফাঁস হওয়া গোপন নথিগুলি জানাচ্ছে, ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাসকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনগুলির উপর নজরদারি চালানোর জন্য আমেরিকার বিখ্যাত বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা স্ট্যাফোর'কে বরাত দিয়েছিল ডাও কেমিক্যালস।
ভোপাল গ্যাস পীড়িতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় তিন দশক ধরে গড়িমসি করলেও ২০০৪-এর জুলাই থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভোপাল আন্দোলনের নেতাদের গতিবিধি জানার জন্য কয়েক লক্ষ ডলার খরচ করেছে ডাও কেমিক্যালস।
মার্কিন মুলুকের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি এমনকী ইউএস মেরিনস ইনটেলিজেন্স-এর নানা ই মেল ও নথিতে উল্লিখিত হয়েছে লন্ডন অলিম্পিকের 'টাইটেল স্পনসর' ডাও কেমিক্যালসের এই কীর্তি। উইকিলিক্সের ফাঁস করা এই নয়া নথিতে স্বভাবতই নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়ল অলিম্পিক আয়োজক কমিটি।