ওয়েব ডেস্ক: ন্যাটোর বিমান হানায় নিহত বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী আবু বকর আল বাগদাদি। বিবৃতি দিয়ে এমটাই জানিয়েছে আইসিস ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা আল আমাক। আর এই খবরেই তোলপাড় গোটা দুনিয়া। যদিও আইসিসের শীর্ষ নেতার মৃত্যুর খবর নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি আমেরিকা। রবিবার আইসিসের দখলে থাকা মসুল শহর থেকে পঁয়ষট্টি কিলোমিটার দূরে, ন্যাটোর বিমান হানায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন আইসিস প্রধান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিহত বাগদাদি?
 
সোমবার আইসিস ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা আল আমাক বিবৃতি দিয়ে জানায়, পবিত্র রমজান মাসের পঞ্চম দিনে উত্তর সিরিয়ার রাক্কায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনীর বিমান হানায় মৃত্য হয়েছে খালিফা আল বাগদাদির। অন্য জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিমান হানায় মৃত্যু হয় তাঁর।  


ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা এবং সরকার ঘনিষ্ঠ তুরস্কের সংবাদপত্র ইয়েনিস সাফাক-এও আইসিসের শীর্ষ নেতার মৃত্যু খবর প্রকাশ করা হয়। 


বাগদাদির মৃত্যুতে তোলপাড় বিশ্ব
 
খবরের সত্যতা যাচাই করতে ইন্টারনেটে মার্কিন সংবাদ সংস্থাগুলির ওয়েবসাইট ঘাঁটা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। তবে আমেরিকার নেতৃত্বে আইসিস বিরোধী জোটের তরফে বাগদাদির মৃত্যুর খবর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের অফিসারদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন দাবি করেছে, গত ছ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বাগদাদি। শেষ পর্যন্ত তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন মসুলে। আবার আইসিস শীর্ষ নেতার রাক্কায় লুকিয়ে থাকার খবরও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। বাগদাদির খোঁজ দিতে পারলে ইতিমধ্যেই আড়াই কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। বিমান হানায় বাগদাদির মৃত্যুর খবর সঠিক বলে ধরে নেওয়া হলেও, মৃত্যুস্থল নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।