ওয়েব ডেস্ক : আজও অগ্নিগর্ভ আউশগ্রাম। আই সি অপসারণের দাবিতে থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে জ্বলল আগুন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের বাইক সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলা চলে থানার ভেতরেও। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে। ঘটনায় ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার পুলিস দাবি করেছিল সমস্যা মিটে গেছে। শনিবার আগুন জ্বলল থানায়। জনতার ভয়ে থানা ছেড়ে, ব্যারাক ছেড়ে পালাল পুলিস। আহত হয়ে চিকিত্‍সাধীন সাত জন পুলিস কর্মী। স্কুলের জমি দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া  গণ্ডগোলের জেরে শুক্রবার পুলিস গ্রেফতার করে আউসগ্রাম স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও একজন গ্রামবাসীকে। শনিবার সকালে গ্রামবাসীদের চাপে দুজনকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিস। এরপরেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষক, ছাত্র ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করেন চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় থানা ঘেরাও করে আইসির অপসারণ দাবি করা হবে। সেই মত থানা ঘেরাও করেন প্রায় হাজার তিনেক মানুষ।


আরও পড়ুন- অগ্নিগর্ভ আউশগ্রাম, জ্বলছে থানা কাঁদছে পুলিস


ঘেরাও চলাকালীন উত্তেজিত জনতা হামলা চালায় থানায়। লাঠি সোটা হাতে হাজারখানেক উত্তেজিত জনতাকে দেখে থানা ও ব্যারাক ছেড়ে পালায় পুলিস কর্মীরা। প্রায় দু ঘণ্টা থানাতে কোনও পুলিস কর্মী ছিলেন না। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় থানায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় থানার সামনে একটি বসার জায়গা। গুরতর আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। প্রাণভয়ে কেঁদেই ফেলেন কর্তব্যরত সাব ইন্সপেক্টর। এরপরই বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে আউশগ্রাম পৌছায় বর্ধমানের পুলিস সুপার। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবস্থা আয়ত্তে আসে। ঘটনাস্থলে পৌছায় বর্ধমানের আইজি রাজেশ কুমার সিং, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, এলাকার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।


ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। রাতেও গ্রামে টহলদারি চলে। তবে এলাকায় নতুন করে অশান্তি না হলেও, থানার ভাঙাচোরা দৃশ্য, এখনও কাটেনি আতঙ্কের রেশ।