কোষাগারের ভাঁড়ে মা ভবানী, সরকারের বর্ষপূর্তিতে জৌলুসের আধিক্য
সরকারের মাথায় কোটি টাকা ঋণের বোঝা। বিভিন্ন সময়ে এই নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আর্থিক সংকটের কোনও ছাপই পড়েনি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে। ঢালাও বিজ্ঞাপন, স্টল বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাবদ খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বিপুল খরচের যৌক্তিকতা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
সরকারের মাথায় কোটি টাকা ঋণের বোঝা। বিভিন্ন সময়ে এই নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আর্থিক সংকটের কোনও ছাপই পড়েনি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে। ঢালাও বিজ্ঞাপন, স্টল বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাবদ খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বিপুল খরচের যৌক্তিকতা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
কোষাগারে টাকা নেই। একই সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ সংকটের মোকাবিলায় নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে টাকা তোলার পথও বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সংকটের এই কঠিন পরিস্থিতিতেই সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জমকালো আয়োজন ঘিরে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক ও রবীন্দ্র মঞ্চে বারো দিন ব্যাপী রকমারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উত্সব প্রাঙ্গন সাজানো হয়েছে বিশাল আকৃতির মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিং কাটআউটে। রয়েছে একাধিক স্টল। কৃত্রিম ফোয়ারায় খরচ হয়েছে প্রায় আট লক্ষ টাকা।
শিল্পীদের যাতায়াত ও টিফিন খরচ দুলক্ষ টাকা।এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যজুড়ে সরকারের এই বিপুল ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল সিপিআইএম।
বিরোধী দলের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।
অনুষ্ঠানের বিপুল খরচ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।