ঝাড়গ্রামে সিআরপিএফ-এর উদ্যোগে আত্মসমর্পণ ৭ মাওবাদীর
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করলেন ৭ জন মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য। প্রাথমিকভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস ও সিআরপিএফের ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-সূত্রে ৯ জনের আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও এঁদের দু'জন আজ ঝাড়গ্রামে আত্মসমর্পণ করেননি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ৭ জন মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য। প্রাথমিকভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস ও সিআরপিএফের ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-সূত্রে ৯ জনের আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও এঁদের দু'জন বুধবার ঝাড়গ্রামে আত্মসমর্পণ করেননি। এঁরা হলেন বৈশিষ্ট্য মাহাতো ওরফে বুলেট এবং লক্ষ্মীকান্ত বাস্কে ওরফে জামাই।
এই আত্মসমর্পণের ঘটনা রাজ্যের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। রাজ্য পুলিসের ডিজি'র সামনে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। ৭ জন আত্মসমর্পণকারীর মধ্যে রয়েছেন, নিহত সিপিআই(মাওবাদী) পলিটব্যুরো সদস্য কিষেণজির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী জগন্নাথ সোরেন ওরফে হিরো। অন্যান্য আত্মসমর্পণকারী সদস্যরা হলেন ললিত মাহাত ওরফে মোটা, শশধর মাহাত ওরফে শশ, খগপতি মাহাত, সুখেন বাস্কে, নিরঞ্জন নাগ ওরফে কঁকড় ও বুদ্ধেশ্বর টুডু।
২৪ নভেম্বর বুড়িশোলের জঙ্গলে নিহত হন মাওবাদী নেতা কিষেণজি। তারপর থেকেই মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য হিরো ও তাঁর সঙ্গীরা আত্মসমর্পণের কথা জানাতে থাকে। এঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সূত্রে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী । বেশ কিছুদিন আগেই তারা রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে ২১ আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক মাওবাদীর একটি তালিকা তৈরি করে পাঠিয়েছিল। কিন্তু প্রথমদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ভারতী ঘোষ ঝাড়গ্রামের এসপি হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হন। পরে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর ৯ জনের আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত ধরে কোনও মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেননি ।
আগে যে সব মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা দীর্ঘদিন আগে স্কোয়াড থেকে বাইরে ছিলেন। সে কারণেই তাঁরা অস্ত্র ছাড়াই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এমনকী জাগরি বাস্কে ও সুচিত্রা মাহাতর আত্মসমর্পণ ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ৭ জন শীর্ষ মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যের আত্মসমর্পণ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সিআরপিএফের ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের। ফলে এই মাও স্কোয়াড সদস্যদের আত্মসমর্পণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে ।