ফের পুলিস পেটানোর ঘটনা, কাঠগড়ায় শাসকদলের কর্মীরা
ফের পুলিস পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের কর্মীর বিরুদ্ধে। উত্তর চব্বিশ পরগনার ঘোলা থানার এএসআই ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সম্রাট চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
ওয়েব ডেস্ক: ফের পুলিস পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের কর্মীর বিরুদ্ধে। উত্তর চব্বিশ পরগনার ঘোলা থানার এএসআই ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সম্রাট চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
গতকাল রাতে ঘোলা বাজার মোড়ে ডিউটি করছিলেন নৈশপ্রহরী বাপী দাস। সেই সময় সম্রাট চক্রবর্তী ও তার সঙ্গী অশোক করের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বাপী দাসের। এরপরেই বাপীকে বেধড়ক পেটায় ওই দুজন। সম্রাট ও অশোককে বাধা দেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিসের নজরদারি ভ্যানের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় পুলিসের এক এএসআই ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকেও মারধর করে সম্রাট ও অশোক। তাদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর বাপীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন পুলিস কর্মীরা।
সরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীকে মারধর, সম্মিলিত অপরাধ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে ঘোলা থানা। কিন্তু গ্রেফতার হয়নি কেউই।
"ঘোলা থানার পুলিসকর্মীদের পেটানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন না তৃণমূল কর্মী সম্রাট চক্রবর্তী। বরং আক্রান্ত পুলিসকর্মীদের বাঁচাতেই গিয়েছিলেন তিনি।" এমনটাই দাবি করলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলর। তাঁদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন।
'পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।' ঘোলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ির।
'পুলিসের ওপর মানুষ আস্থা হারালে তা রাজ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।' প্রতিক্রিয়া অরুণাভ ঘোষের।
কেন মামলা দায়েরের পরও পিছিয়ে গেল পুলিস? কেন গোটা একটা দিন কেটে গেলেও সম্রাট চক্রবর্তী ও অশোক করের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না পুলিস? কেন দেখা নেই আহত নৈশ প্রহরী বাপি দাসের?
সূত্রের খবর, নৈশ প্রহরী বাপি দাসও যাতে আর একটি শব্দও না বলতে পারে, তার জন্য তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে হাত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ বড়ুয়ার।
সূত্রের খবর, ঘটনা চেপে দিতে ওপর মহল থেকে পুলিসের কাছে নির্দেশ আসে। ফোন করেন এলাকার দাপুটে বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এরপরই হাত গুটিয়ে যায় পুলিসের। কারণ ঘোলা এলাকায় এখন তো এঁরাই শেষ কথা।