ন্যায়বিচার পেতে মোদীতেই আস্থা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অভিনব ভারতের অন্যতম মাথা অসীমানন্দর
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে অসীমানন্দ এখন এরাজ্যে। চরম গোপনীয়তায় জয়রামবাটির রিসর্টে রয়েছেন মালেগাঁও সহ একাধিক বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। NIA-র দাবি, অসীমানন্দই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অভিনব ভারতের অন্যতম মাথা। অন্যদিকে, অসীমানন্দের বিস্ফোরক দাবি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতাদের অজানা ছিল না অভিনব ভারতের কথা। ফের শিরোনামে সেই বিতর্ক।
ওয়েব ডেস্ক: প্যারোলে মুক্তি পেয়ে অসীমানন্দ এখন এরাজ্যে। চরম গোপনীয়তায় জয়রামবাটির রিসর্টে রয়েছেন মালেগাঁও সহ একাধিক বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। NIA-র দাবি, অসীমানন্দই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অভিনব ভারতের অন্যতম মাথা। অন্যদিকে, অসীমানন্দের বিস্ফোরক দাবি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতাদের অজানা ছিল না অভিনব ভারতের কথা। ফের শিরোনামে সেই বিতর্ক।
২০১০ সাল। পুলিস প্রথম দাবি করে, মালেগাঁও বা আজমেঢ় শরিফ বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী অভিনব ভারত। সেটা ছিল UPA জমানা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তদন্তভার দেওয়া হয় NIA-কে। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে স্বামী অসীমানন্দের নাম। সহযোগী হিসেবে উঠে আসে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও সেনাবাহিনীর কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতের নাম। যদিও তখনকার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি গোটা ঘটনার পেছনে কংগ্রেস সরকারের ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করে। অসীমানন্দের বিস্ফোরক দাবিতে যে বিতর্ক তৈরি হয়, সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে মামলাগুলির তদন্তের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে।
১. মালেগাঁও বিস্ফোরণে অসীমানন্দের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে ব্যর্থ NIA।
২. সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলায় জামিন অসীমানন্দের। ১১ মাস পরেও সেই জামিনের বিরেধিতা করেনি NIA।
৩. অন্যতম অভিযুক্ত সুনীল জোশী হত্যার ঘটনাকে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অভিনব ভারতের বিরুদ্ধে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মামলা দাবি করে তদন্তভার নেয় NIA। কিন্তু চলতি বছর জুন মাসে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে এই মামলার যোগ নেই জানিয়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিসকে মামলা ফিরিয়ে দেয় NIA।
৪. আজমেঢ় শরিফ ও মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ মামলার একের পর এক সাক্ষী দুহাজার চোদ্দর শেষ দিকে বিরূপ হতে শুরু করে।
৫. মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় NIA-র আইনজীবী রোহিণী শৈলানের অভিযোগ, NIA-র সিনিয়র অফিসাররাই তাঁকে মামলার গতি কমাতে চাপ দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের প্রতি তাঁকে নরম হতে বলাও হয়েছে বলে অভিযোগ রোহিণী শৈলানের।
বিজেপির মদতেই হিন্দু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তদন্ত গতি হারাচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এবছর ফেব্রুয়ারিতে মরণাপন্ন মাকে প্যারোলে দেখতে গিয়ে অসীমানন্দের শিষ্যা সাধ্বী প্রজ্ঞা দাবি করেন, তাঁরা সন্ত্রাসবাদী নন। ন্যায়বিচার পেতে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রে পালাবদলের পর কাকতালীয় ভাবে তদন্ত গতি হারানোয় প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে।