অশোকনগর: প্রথমে গণধর্ষণ ও অ্যাসিড হামলার অভিযোগ, পরে অভিযোগ প্রত্যাহার, ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
প্রথমে থানায় অভিযোগ, তারপর অভিযোগ তুলে নেওয়া। একগুচ্ছ প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। কিছু না হলে মহিলা কেন হাসপাতালে ভর্তি? মহিলা কেন কথা বলতে পারছেন না? প্রথমে চাপে রাখতে অভিযোগ করলেও কী ভেবে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করল নির্যাতিতার পরিবার? অভিযোগ তুলে নিতে কি চাপ দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে?
ব্যুরো: প্রথমে থানায় অভিযোগ, তারপর অভিযোগ তুলে নেওয়া। একগুচ্ছ প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। কিছু না হলে মহিলা কেন হাসপাতালে ভর্তি? মহিলা কেন কথা বলতে পারছেন না? প্রথমে চাপে রাখতে অভিযোগ করলেও কী ভেবে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করল নির্যাতিতার পরিবার? অভিযোগ তুলে নিতে কি চাপ দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে?
প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকাও। গণধর্ষণ এবং অ্যাসিড হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পর কেন অভিযোগ খতিয়ে দেখল না পুলিস? নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ তুলে নিলেও মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন ব্যবস্থা নিল না পুলিস? যদি মিথ্যা অভিযোগ আনে নির্যাতিতার পরিবার, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কেন ব্যবস্থা নিল না পুলিস? শাসক দলের কর্মীরা অভিযুক্ত বলেই কি চুপ করে থাকল পুলিস? অশোকনগর থানায় গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ষণ ও অ্যাসিড ছোঁড়ার অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়, তাঁরা নাদিরা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত। রাতের দিকে অবশ্য নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, গত অগস্ট মাসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় একটি খুন হয়। সেই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে অভিযুক্ত করা হয়। তারপর থেকে মহিলার স্বামী পলাতক, মহিলা ঘরছাড়া। এখন তাঁরা ঘরে ফিরতে চান। সে জন্যই তৃণমূলের অন্য পক্ষকে চাপে রাখতে তাঁরা ধর্ষণের অভিযোগ এনে ছিলেন।