মুক্তি পেলেন বংশীবদন বর্মণ
জেল থেকে ছাড়া পেলেন গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা বংশীবদন বর্মণ। বিগত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে কোচবিহার জেলা সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
জেল থেকে ছাড়া পেলেন গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা বংশীবদন বর্মণ। বিগত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে কোচবিহার জেলা সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর নতুন সরকার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে টম অধিকারী সহ চার জন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এবার মুক্তি পেলেন বংশীবদন বর্মণ।
পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে, ২০০৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কোচবিহারে আমরণ অনশনে বসেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণ। কিন্তু, সেই কর্মসূচি ঘিরে হিংসা ছড়ায়। তাতে এক অফিসার-সহ তিন পুলিস কর্মী ও দুই গ্রেটার কোচবিহার সমর্থকের মৃত্যু হয়। এরপর আদর্শ ও আন্দোলনের কৌশলগত প্রশ্নে ভাঙন ধরে গ্রেটারে। রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন বংশীবদন বর্মণ। ২০০৬ সালের ২৫ মে পুলিস বংশীবদন বর্মণকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই কোচবিহার সংশোধনাগারে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছিলেন বংশীবদন বর্মণ। মুক্তি পাওয়ার পর এদিন বংশীবদন বর্মণকে নিয়ে শহর পরিক্রমা করেন গ্রেটার কোচবিহার সমর্থকরা।