সরানো হল বাঁকুড়া থানার আইসিকে- দোষ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার, শাস্তি বদলির অর্ডার
ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বদলির অর্ডার হাতে পেয়ে গেলেন বাঁকুড়া থানার আইসি। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার করলেই পুলিস কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার যে রীতি রাজ্যে চালু হয়েছে, বাঁকুড়ার ঘটনায় আরও একবার তা প্রমাণ হল।
ওয়েব ডেস্ক: ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বদলির অর্ডার হাতে পেয়ে গেলেন বাঁকুড়া থানার আইসি। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার করলেই পুলিস কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার যে রীতি রাজ্যে চালু হয়েছে, বাঁকুড়ার ঘটনায় আরও একবার তা প্রমাণ হল।
সোমবার রাতে বাঁকুড়া শহরের বাসস্ট্যান্ডে ধর্ষণের চেষ্টা রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিস। কর্তব্যরত এক পুলিসকর্মীকে কলার ধরে পেটায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি চক্রবর্তী। অভিযোগ, উর্দিধারীকে সবক শেখাতে গিয়ে লাথি, ঘুষি, কিছুই বাদ রাখেনি সে। পায়ে মাড়িয়ে গুড়িয়ে দেয় পুলিসকর্মীর মোবাইল। রাতে বাপি চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া থানার পুলিস। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বদলির অর্ডার পেয়ে গেলেন আইসি বিশ্বজিত্ সাহা।
বদলির চিঠিতে খুব শিগগিরই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, জনস্বার্থেই এই বদলি। কিন্তু বিরোধীরা তা মানছেন না।
জেলা তৃণমূল অবশ্য এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। বাপি গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁকে সমাজকর্মী বলে দাবি করেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। জেলার শীর্ষ নেতার এমন সার্টিফিকেটের পর বাপিকে আর নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার সাহস দেখায়নি পুলিস। তাকে সরাসরি চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলে পৌছেই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ে বাপি। ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এখন সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি।