মাটি মাফিয়া দৌরাত্ম্যে রণক্ষেত্র ভাঙড়, আহত পাঁচ পুলিস কর্মী, হামলার অভিযোগ সিপিআইএম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে
মাটি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু। তার জেরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়। ভাঙচুর করা হল পুলিসের চারটি গাড়ি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দুটি গাড়িতে। আহত হয়েছেন ভাঙড় থানার ওসি সহ পাঁচ পুলিসকর্মী।
মাটি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু। তার জেরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়। ভাঙচুর করা হল পুলিসের চারটি গাড়ি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দুটি গাড়িতে। আহত হয়েছেন ভাঙড় থানার ওসি সহ পাঁচ পুলিসকর্মী। সিপিআইএম বিধায়কের উস্কানিতেই হামলা। অভিযোগ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। মাটি মাফিয়াদের মদত দিচ্ছেন আরাবুল। পাল্টা তোপ সিপিআইএমের। এই ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিস।
দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙড়-কাশীপুর-কেএলসি থানা এলাকায় চলছে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। বাগজোলা খাল, সোনপুর খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি চলছে। শনিবার ডাম্পারে করে মাটি নিয়ে আসার সময় সেই ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। এরপরেই রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙর। দেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। কাশীপুর ও ভাঙড় থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। লাঠিচার্জ করে পুলিস। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আহত হন ভাঙর থানার ওসি সহ পাঁচ পুলিসকর্মী। পরে কাশীপুর থানার সামনে পুলিসের দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের চারটি জিপে। স্থানীয় সিপিআইএম বিধায়কের উস্কানিতেই এই ঘটনা, অভিযোগ আরাবুল ইসলামের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরাবুল ইসলাম ও নান্নু হোসেনের সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগসাজসে অবাধে মাটি পাচার চলছে। পুলিস, সেচ দফতর, বন দফতর, গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।