ন্যানো রহস্য সমাধানের আগেই এবার সামনে এল জোড়া বাইক
শিমুলিয়ার ন্যানো গাড়ির পর মুকিমনগরের দুটি মোটরবাইক। বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে উদ্ধার বাহন ঘিরে ফের দানা বাঁধল রহস্য। তদন্তে জানা গেছে, বাইকদুটির নম্বরের কোনও অস্তিত্বই RTO ডেটাবেসে নেই। শুরু থেকেই বাহন রহস্যে সওয়ার বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ড। কোন লাল বাইকে বিস্ফোরক পাচার করত জঙ্গিনেতা কওসর? এখনও জানেন না তদন্তকারীরা। শিমুলিয়ার ন্যানো গাড়ির রহস্যেও সমাধান অধরা। তদন্তে জানা গেছে, অনুমোদনহীন মাদ্রাসার বাইরে উদ্ধার ওই গাড়ির নম্বরটি জাল। ওই একই নম্বরে মুর্শিদাবাদে দুটি মোটরবাইকের হদিশও মিলেছে। শুধু তাই নয়, গাড়িতে মিলেছে সেনাবাহিনীর স্টিকারও।
ন্যানো রহস্যে পর্দা ওঠার আগেই, সামনে এল জোড়া বাইকের রহস্য। মুকিমনগরের অনুমোদনহীন মাদ্রাসায় উদ্ধার হয়েছে দুটি মোটরবাইক। একটির নম্বর WYH 4445। মোটর ভেইকেল দফতরের তথ্য বলছে, ভারতে সাতের দশকের পর এই ধরনের নম্বর ইস্যু হয়নি। কিন্তু, বাইকটির মডেল হিরোহন্ডা CD100। এই মডেল বাজারে আসে নয়ের দশকে। নয়ের দশকের বাইকে কী করে সাতের দশকের নম্বর? তদন্তকারীদের সন্দেহের শুরু এখানেই। দ্বিতীয় বাইকটির ইয়াহমা মডেলের। নম্বর WB58E9280। দুটি বাইকের নম্বরের উত্স খুঁজতে গিয়েই ধরা পড়েছে জালিয়াতি।RTO-ডেটাবেসে ওই দুটি নম্বরের কোনও হদিশই মেলেনি। শুধু তাই নয় জাতীয় স্তরে বাহন নামে যে ভেইকেল ডেটাবেস রয়েছে, তাতেও হদিশ মেলেনি ওই দুটি নম্বরের। সব খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, বাইকদুটি ব্যবহার হত জঙ্গি কার্যকলাপেই।