বিচারক নিগ্রহের ঘটনায় 'নির্দোষদের গ্রেফতার' করে বিতর্কে পুলিস
বিচারক নিগ্রহের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে বীরভূম পুলিস। সেদিন রাতে ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জির ফোন ধরেননি পুলিস সুপার। এবার অভিযোগ উঠল, চাপের মুখে নির্দোষদের গ্রেফতার করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিস।
ব্যুরো: বিচারক নিগ্রহের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে বীরভূম পুলিস। সেদিন রাতে ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জির ফোন ধরেননি পুলিস সুপার। এবার অভিযোগ উঠল, চাপের মুখে নির্দোষদের গ্রেফতার করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিস।
দাবিমতো চাঁদা না দেওয়ায় রবিবার মদ্যপদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন বিচারক ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি। বার বার ফোন করলেও, ধরেননি পুলিস সুপার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের প্রশ্নের মুখে বীরভূম পুলিস।
সংবাদমাধ্যমে হইচই শুরু হতেই সোমবার নড়েচড়ে বসে পুলিস। সন্ধের মধ্যে সিউড়ির লাইন পার থেকে তুলে আনা হয় ছজনকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর মীর হাবিব, মীর সুমন, মীর ইমন ও দিব্যেন্দু সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এবার,দানা বাঁধে নয়া বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে মান বাঁচাতেই তড়িঘড়ি ডেকরেটার্স কর্মীদের ধরে এনেছে পুলিস। ধৃত দিব্যেন্দু সরকারের বাবার দাবি,অগ্রদূত ক্লাবের সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর ছেলের। আদালতে তোলা হলে, বিচারকের সামনেও একই দাবি করেন দিব্যেন্দু সরকার। বিচারক ঋষি কুশারিকে দিব্যেন্দু জানান, আমি নির্দোষ। আমরা সেদিন প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করতে গিয়েছিলাম মাত্র। আমি কাজের এগ্রিমেন্টও দেখাতে পারি। আমাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন আদালতের অন্যান্য আইনজীবীরাও।
দুপক্ষের বক্তব্য শুনে মীর ইমন ও দিব্যেন্দু সরকারকে ৩দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। হেফাজতে নিতে না চাওয়া মীর হাবিব ও সুমনকে ১৪দিনের জেল হেফজাতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।