পাড়ুইয়ে পারদ চড়ছেই, গ্রাম দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল-বিজেপি, রাতভর চলল বোমা-গুলি
গ্রাম দখলের লড়াই ঘিরে ফের উত্তপ্ত বীরভূমের পাড়ুই। রাতভর চলল বোমা-গুলি। গোলাপবাগ, ব্রাহ্মণডিহি, শ্রীরামপুর, পোশেরা সহ আশেপাশের বহু গ্রাম রণক্ষেত্র। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি, দুপক্ষই। গ্রামে ঢুকতে বাধা সংবাদমাধ্যমকেও। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। গ্রামগুলিতে টহলদারি শুরু করেছে পুলিসবাহিনী। নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স।
ব্যুরো: গ্রাম দখলের লড়াই ঘিরে ফের উত্তপ্ত বীরভূমের পাড়ুই। রাতভর চলল বোমা-গুলি। গোলাপবাগ, ব্রাহ্মণডিহি, শ্রীরামপুর, পোশেরা সহ আশেপাশের বহু গ্রাম রণক্ষেত্র। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি, দুপক্ষই। গ্রামে ঢুকতে বাধা সংবাদমাধ্যমকেও। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। গ্রামগুলিতে টহলদারি শুরু করেছে পুলিসবাহিনী। নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স।
শুক্রবার বিকেলে বোমাবাজিতে কেঁপে ওঠে সাত্তোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতর তৈরি হওয়া পুলিস ক্যাম্প। প্রাণভয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়েন পুলিসকর্মীরাও। এলাকায় অবাধে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে পুলিসবাহিনী গেলেও, তাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নক্কারজনক।
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ এখনও কমেনি পাড়ুইয়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই গোলাপবাগ ও কোসেরা গ্রামে দফায় দফায় চলে বোমাবাজি। যার ফলে শুক্রবার সকালেও উত্তপ্ত ছিল গোরাপাড়া, ছাতারবাঁদি, গোলাপবাগ, পোশেরা সহ বিভিন্ন গ্রাম। এরইমধ্যে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আচমকা সাত্তোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে অস্থায়ী পুলিস ক্যাম্পের ওপর বোমা, বন্দুক নিয়ে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। সেসময় কোনওরকমে ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে প্রাণে বাঁচেন সাত্তোর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি শেখ মোস্তাফা।
হামলা থেকে বাঁচতে প্রাণভয়ে সাত্তোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন পুলিসকর্মীরা। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তড়িঘরি সেখানে ছুটে যায় জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী। যদিও শুক্রবার পুলিসের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। প্রশাসনিক ব্যর্থতা সামাল দিতে ক্যামেরা দেখে ছাতা দিয়ে মুখ ঢাকেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার। এদিকে পুলিস ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীদের ফিরে যাওয়ায় প্রশাসনিক সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাত্তোর অঞ্চল সভাপতি শেখ মুস্তাফাও।
দুটি দোকানে ভাঙচুরের পাশপাশি দুটি মোটরবাইক ও একটি টাটাসুমো বোমা মেরে তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের অভিযোগ, হামলাকারীরা সবাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও গোটা ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি। প্রশাসনিক তত্পরতা বোঝাতে মিঠুন শেখ নামে এক বিজেপি কর্মীকে পুলিস গ্রেফতার করলে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাত্তোর কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। প্রতিবাদে রাতে সিউড়ি-বোলপুর পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।