বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের গুন্ডাগিরি

খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সাংবাদিকরা। ব্যাপক মারধর করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিককেও। এঘটনা ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। সাংবাদিকরা সেই ছবি তুলতে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররা বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন প্রহৃত সাংবাদিকরা।

Updated By: Mar 28, 2012, 08:52 PM IST

খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সাংবাদিকরা। ব্যাপক মারধর করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিককেও। এঘটনা ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। সাংবাদিকরা সেই ছবি তুলতে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররা বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন প্রহৃত সাংবাদিকরা।       
বুধবার দুপুরের পর থেকে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। গলসির বাঁধগাছির বাসিন্দা রেশমি খাতুনকে এদিন সকালে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডে। দুপুরে তিনি মারা যান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেনের নল খুলে নেওয়ায় তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। একথা চিকিত্‍সকদের জানানো সত্ত্বেও তাঁরা ব্যবস্থা নেননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা। রেশমি খাতুনের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকজন। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় তাঁদের। এরপর মৃতের বাড়ির লোকজনকে জুনিয়র ডাক্তাররা মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। সাংবাদিকরা এই খবর সংগ্রহ করতে হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁদের ওপরেও চড়াও হন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকও। ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আক্রমণের জেরে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন অনেক সাংবাদিক। দুজন সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, পুলিসের সামনেই জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি পুলিসের লাঠি কেড়ে নিয়েও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বর্ধমান থানা হলেও, কেন পরিস্থিতি সামলাতে বাড়তি পুলিসবাহিনী পাঠানো হল না, সে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকরা।

.