সারদাকাণ্ডে এবার রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু সিবিআই-এর
সারদাকাণ্ডে এবার সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারে আটটি নির্দিষ্ট সংবাদপত্র ছাড়া বাকি সবগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ২০১২ সালে, যার অধিকাংশই সারদার সঙ্গে যুক্ত। সেই বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিই এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে।
ব্যুরো: সারদাকাণ্ডে এবার সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারে আটটি নির্দিষ্ট সংবাদপত্র ছাড়া বাকি সবগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ২০১২ সালে, যার অধিকাংশই সারদার সঙ্গে যুক্ত। সেই বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিই এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে।
১৪ই মার্চ ২০১২। রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা দেওয়া হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকারি বা সরকারি অনুদান পাওয়া গ্রন্থাগারগুলিতে নির্দিষ্ট ৮টি সংবাদপত্রের ছাড়া অন্য কোনও সংবাদপত্র রাখা যাবে না। তাত্পর্যপুর্ণভাবে ওই ৮টি সংবাদপত্রের অধিকাংশই সারদার সঙ্গে যুক্ত। অন্যান্য সংবাদপত্রগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সারদার সংবাদপত্রগুলিকে সরকারি গ্রন্থাগারে জায়গা পাইয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার কি সুদীপ্ত সেনকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল? এবার তার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
ইতিমধ্যেই ওই নির্দেশিকার কপি গোয়েন্দারা বাজেয়াপ্ত করেছেন। এই নির্দেশিকার পিছনে ধৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ ও সৃঞ্জয় বসুর যে বড় ভুমিকা ছিল তা নিয়ে গোয়েন্দারা নিঃসন্দেহ। একই সঙ্গে, সাধারন মানুষের কাছে সারদার ভাবমূর্তি উজ্জল করাই জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের উদ্দেশ্য ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সারদাকাণ্ডে এই প্রথম সিবিআই রাজ্য সরকারের কোনও দফতরের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে ওই দফতরের কর্তাদের, এমনকি তলব করা হতে পারে মন্ত্রীকেও।