চিট ফান্ডের টাকায় চলবে না দল, দলীয় কর্মিসভায় নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
দরকার হলে ভিক্ষের টাকায় চলবে তৃণমূল। তবু চিট ফান্ডের টাকায় হাত ছোঁয়ানো যাবে না। দলের কর্মিসভায় এই নির্দেশ দিয়ে নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
দরকার হলে ভিক্ষের টাকায় চলবে তৃণমূল। তবু চিট ফান্ডের টাকায় হাত ছোঁয়ানো যাবে না। দলের কর্মিসভায় এই নির্দেশ দিয়ে নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
এতদিন তাহলে কোন টাকায় চলছিল তৃণমূল? হঠাত্ এমন কী হল যে ভিক্ষে করার দরকার পড়তে পারে দলের?
এসবের কোনও জবাব কিন্তু দেননি মুখ্যমন্ত্রী । তবে চিটফান্ড কাঁটা তুলতে আগেভাগেই নিজের সাফাইয়ে বললেন, চিটফান্ডের টাকায় আগেও দল চলেনি। ভবিষ্যতেও চলবে না।
সত্যিই কি তাই?
শাসকদলের বিশাল কর্মকাণ্ডের পিছনে টাকার উত্স কী? বিরোধীদের এই প্রশ্ন বহুদিনের। কিন্তু এই প্রশ্নেরও জবাব মিলল না।
কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, দরকারে হাতে লেখা পোস্টার ব্যবহার করুন।
পোস্টারের কথা তো হল। কিন্তু শহরে-গ্রামে অলি-গলিতে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হোর্ডিং-ব্যানার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর লাইফসাইজ কাট-আউটের ছড়াছড়ি, সেগুলি কোন টাকায়?
আমি থাকাকালীন চিট ফান্ডের টাকা দিয়ে দল চলবে না। দলের কেউ যুক্ত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়ে কুণাল ঘোষ এখন পুলিসের জালে। নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এর কিছুই জানতেন না? নাকি জানতেন বলেই দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে ড্যামেজ ক্নট্রোলের চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
শুক্রবারের কর্মিসভার বড় অংশ জুড়ে চিটফান্ড থাকলেও, কথা হয় সাংগঠনিক দিক নিয়েও। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সাংগঠনিক, নির্বাচনী, নীতি নির্ধারণ-এই তিনটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। দলের যুব অংশকে চাঙ্গা করতে মার্চের আগে সমাবেশের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।