বরফ গলল পাহাড়ে, বৈঠকে খুশি মোর্চা
অবশেষে বরফ গলল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে খুশি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব। তাঁরা জানালেন, জিটিএ নিয়ে সমস্ত অচলাবস্থা কেটে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বললেন, মাস খানেকের মধ্যেই পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে জিটিএ-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
দার্জিলিং: অবশেষে বরফ গলল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে খুশি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব। তাঁরা জানালেন, জিটিএ নিয়ে সমস্ত অচলাবস্থা কেটে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বললেন, মাস খানেকের মধ্যেই পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে জিটিএ-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন নিয়ে লোকসভা ভোটের সময় থেকেই রাজ্যের সঙ্গে দূরত্বটা তৈরি হয়েছিল মোর্চা নেতৃত্বের। লোকসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম পাহাড় সফরের শুরুতে চাপানউতোর চলছিলই। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আসেননি মোর্চা নেতারা।
ম্যালের সভা থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিমল গুরুংকে জন্মদিনে শুভেচ্ছাও জানাতে ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকে মোর্চা নেতারা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। শুক্রবার দুপুরে কৌশলী বৈঠক করেন মোর্চা নেতারা। তারপরই রিচমন্ড হিলসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসেন বিমল গুরুং।
এরপর জিটিএ-র সদস্য, মোর্চা নেতা, মোর্চার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বোঝালেন, পাহাড়ের উন্নয়নই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। মোর্চা নেতারা জানালেন, তাঁরা খুশি। জিটিএ নিয়ে অচলাবস্থা কেটে গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পাহাড়ে অশান্তি চললে তা হবে প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ। আবার জিটিএ চালাতে গেলে রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করাটাও নেহাতই অসম্ভব। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই আপাতত সমঝোতায় এল দুপক্ষ। শেষপর্যন্ত উন্নয়নই হয়ে দাঁড়াল সেতু।