শিশু বিক্রি কাণ্ড: বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি চন্দ্রাণীর
শিশু বিক্রি কাণ্ডে নয়া মোড়। চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনের জেরে যখন রাজ্য তোলপাড়, তখনই চব্বিশ ঘণ্টার দফতরে এসে নিজের অপরাধ কবুল করে নিলেন অন্যতম অভিযুক্ত চন্দ্রাণী রায়। বললেন, শিশু বিক্রি চক্রে জড়িয়ে ভুল করেছেন। টাকার লোভ সামলাতে না পেরেই তাঁর চক্রে জড়িয়ে পড়া বলে জানান চন্দ্রাণী। ভাগ বাটোয়ারা হলে তার বড় অংশ যেত, রমজান এবং কৌশিকের দখলে। তার মধ্যে একা কৌশিকই ৮০ হাজার টাকা পেতেন । ২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত চিকিৎসক চন্দ্রাণী রায়ের স্বীকারোক্তি দেখতে ক্লিক করুন এখানে
শিশু বিক্রি কাণ্ডে নয়া মোড়। চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনের জেরে যখন রাজ্য তোলপাড়, তখনই চব্বিশ ঘণ্টার দফতরে এসে নিজের অপরাধ কবুল করে নিলেন অন্যতম অভিযুক্ত চন্দ্রাণী রায়। চন্দ্রাণী বলেছেন, শিশু বিক্রি চক্রে জড়িয়ে ভুল করেছেন। টাকার লোভ সামলাতে না পেরেই তাঁর চক্রে জড়িয়ে পড়া বলে জানান চন্দ্রাণী। ভাগ বাটোয়ারা হলে তার বড় অংশ যেত, রমজান এবং কৌশিকের দখলে। তার মধ্যে একা কৌশিকই ৮০ হাজার টাকা পেতেন । এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন আদপে তিনি ডাক্তার নন। তাঁর কোন এমবিবিএস ডিগ্রি নেই। ইউনানি প্র্যাকটিস করেন। তবে তারও কোন ডিগ্রি আছে কিনা সে বিষয়ে চন্দ্রাণীর বক্তব্যে স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত মেলেনি।
চন্দ্রাণী তাঁর তরফ থেকে তদন্তে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই পুলিসকে মুচলেকা দিয়ে তিনি দোষ কবুল করেছেন। কথা দিয়েছেন এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করার। চন্দ্রাণী এও জানিয়েছেন পুলিসকে তিনি রমজানের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে পুলিসের তরফ থেকে ২৪ঘণ্টার দফতরে তদন্তের স্বার্থে এই স্টিং অপরেশনের ভিডিও ফুটেজ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবার বেলা বারোটায় শিশু বিক্রির খবর সম্প্রচারিত হয় ২৪ ঘণ্টার পর্দায়। খবর সম্প্রচার হতেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। যে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উস্তির সেই `সমাধান` নার্সিংহোমেও শোরগোল শুরু হয়। স্থানীয় মানুষরাও ভিড় করেন নার্সিংহোমের বাইরে।
চব্বিশ ঘণ্টায় খবর দেখে নার্সিংহোমে উপস্থিত হন এলাকার বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি। মন্ত্রী বেরিয়ে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হেনস্থা শুরু হয় ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিদের ওপর। ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টাও করা হয়।
তখন থেকেই স্পষ্ট হতে থাকে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। খবর সম্প্রচারের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে নার্সিংহোম চত্বর। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সেখানে দেখা যায়নি পুলিসকে। যোগাযোগ করা হয় রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত চিকিৎসক চন্দ্রাণী রায়ের স্বীকারোক্তি দেখতে ক্লিক করুন এখানে