মুখে কালি মেখে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ তৃণমূলেরই ব্লক সহ সভাপতির বিরুদ্ধে
ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়াল রাজগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতির নাম। প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। গতরাতে রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি পেশায় ব্যবসায়ী সুধীররঞ্জন ধারার বাড়িতে হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
ওয়েব ডেস্ক: ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়াল রাজগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতির নাম। প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। গতরাতে রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি পেশায় ব্যবসায়ী সুধীররঞ্জন ধারার বাড়িতে হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
শনিবার রাতে রাজগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুধীররঞ্জন ধারার বাড়িতে হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। মুখে কালি মেখে এসেছিল তারা। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে জখম হন সুধীররঞ্জনের ভাই, বাড়ির পরিচারক ও নাতি। গুলি চালিয়ে, বোমা ফাটিয়ে অবাধে লুঠপাট চালায় ডাকাতদল। ডাকাতির ঘটনা ধরা পড়েছে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে।
সুধীররঞ্জনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লক সহ সভাপতি মনোরঞ্জন দাসকে। আটক হয়েছে আরও পাঁচজন। যদিও মনোরঞ্জন দাস এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি। মনোরঞ্জন দাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজগঞ্জের বিধায়কও।
জানা গেছে এই ডাকাতির ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। একসময় বাড়ির কাছে একটি জমি বন্ধক রেখেছিলেন সুধীররঞ্জন। পরে সেই জমি অপেক্ষাকৃত কম বাজার দরে মনোরঞ্জন দাসের কাছে ছাড়াতে চান তিনি। কিন্তু রাজি না হওয়াতেই তাঁকে ডাকাতিতে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ধৃতের স্ত্রীর।
রবিবার মনোরঞ্জন দাসকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যেতে গেলে বাধা পায় পুলিস। থানার বাইরে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে যেতে হয় এসপিকে। পরে এসপি জানান মনোরঞ্জন দাসকে গ্রেফতার নয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।