চা-শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বাবদ ডানকান্সকে ৪ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

চা-শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বাবদ ডানকান্সকে  চার কোটি টাকা  দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ডানকান্সের দাবি, বকেয়া রয়েছে দুই কোটি উনিশ লক্ষ  টাকা। তাদের ছটি চা-বাগানের অধিগ্রহণ  নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ডানকান্সের ছটি চাবাগান অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের ভর্তসনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। শ্রমিক নাকি মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। এমনই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Feb 19, 2016, 10:15 PM IST
  চা-শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বাবদ ডানকান্সকে ৪ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

ওয়েব ডেস্ক: চা-শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বাবদ ডানকান্সকে  চার কোটি টাকা  দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ডানকান্সের দাবি, বকেয়া রয়েছে দুই কোটি উনিশ লক্ষ  টাকা। তাদের ছটি চা-বাগানের অধিগ্রহণ  নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ডানকান্সের ছটি চাবাগান অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের ভর্তসনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। শ্রমিক নাকি মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। এমনই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর শুক্রবার মামলাটি ফের আদালতে উঠলে ডানকান্স কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি চা আইনকে সমর্থন করে না।এই আইন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারির আগে নোটিস দেওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে সেরকম কিছুই করা হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানায় ডানকান্স কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই ডানকান্স কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বাবদ বাইশে ফেব্রুয়ারির মধ্যে চার কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেন।

ডানকান্সের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল বেতন বাবদ বকেয়া রয়েছে দুই দশমিক এক নয় কোটি টাকা। এবং সেই টাকা তারা নিজারাই দিতে চান। আদালত অবশ্য জানিয়ে দেয়, ডানকান্স কর্তৃপক্ষ নয়, শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর বিষয়টি তদারকি করবেন বিশেষ অফিসার। সেই লক্ষ্যে টি বোর্ডের অধিকর্তাকে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করেছে হাইকোর্ট। এদিকে, ডানকান্সের চা-বাগানে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। এবার মালবাজারের নাগেশ্বরীতে। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে চিনু ওরাওঁ নামে এক মহিলার। পরিবারের অভিযোগ, টাকার অভাবে কার্যত বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়েছে ওই চা শ্রমিকের। গত দশ মাস ধরে বন্ধ এই চা বাগানটি। চার মাসে এই বাগানে উনিশজনের মৃত্যু হয়েছে।

.