সারদার পাশাপাশি রোজভ্যালির বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু ইডির

সারদার পাশাপাশি রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়ম বর্হিভূতভাবে বাজার থেকে আমানত সংগ্রহ করার অভিযোগে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে ইডি। আজ বারাসত, বাগুইআটি এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর তিনটি অফিসে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। বারাসতের কাজিপাড়ায় রোজভ্যালির একটি গেস্টহাউসেও অভিযান চলে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। দুপুর থেকে একইসঙ্গে তিনটি অফিসে তল্লাসি অভিযান শুরু হয়েছে।

Updated By: May 22, 2014, 08:59 PM IST

সারদার পাশাপাশি রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়ম বর্হিভূতভাবে বাজার থেকে আমানত সংগ্রহ করার অভিযোগে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে ইডি। আজ বারাসত, বাগুইআটি এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর তিনটি অফিসে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। বারাসতের কাজিপাড়ায় রোজভ্যালির একটি গেস্টহাউসেও অভিযান চলে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। দুপুর থেকে একইসঙ্গে তিনটি অফিসে তল্লাসি অভিযান শুরু হয়েছে।

রাজ্যের যে সতেরোটি চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আমানত সংগ্রহের অভিযোগ তুলেছিল সেবি, তার মধ্যে একটি রোজভ্যালি গোষ্ঠী। আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ তদন্তকারী সংস্থা এসএফআইও রোজভ্যালির বিরুদ্ধে একটি তদন্ত করে। তদন্তে বিপুল আর্থিক বেনিয়মের প্রমাণ পায় এসএফআইও।

এসএফআইও সূত্রে খবর, দুহাজার এগারো-বারো সালে রোজভ্যালি গোষ্ঠী চারশো আটষট্টি কোটি টাকা লোকসান দেখায়। ওই একই আর্থিক বর্ষে সংস্থার ব্যালান্স শিটে বিবিধ খরচ হিসাবে দেখানো হয় চারশো ঊননব্বই কোটি টাকা। কোম্পানির দায়বদ্ধতা দেখানো হয় দুশো তিরিশ কোটি টাকা। অথচ, সেই আর্থিক বর্ষেই রোজভ্যালির গোষ্ঠীর একটি কোম্পানি থেকে গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু দুশো সাত কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছেন বলে দেখানো হয় ব্যালান্স শিটে।

তদন্তে রোজভ্যালি গোষ্ঠীর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রচুর অসচ্ছতা এবং গরমিল পাওয়া গেছে। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর নন কনভার্টেবল ডিভেনচার বাজারে ছেড়ে চার হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে কিন্তু সেবির নিয়ম অনুযায়ী ডিভেনচারগুলি শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত নয়। এর আগে দুহাজার বারো সালে ঝারখন্ড সরকার আর্থিক বেনিয়মের কারণে রোজভ্যালির ব্যবসা বন্ধ করে দেয় তাদের রাজ্যে। এসএফআইওর দাবি, ঝাড়খণ্ড থেকে রোজভ্যালি গোষ্ঠী দুহাজার নশো কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে।

সূত্রের খবর, এসএফআইওর তদন্তের ভিত্তিতেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে সেবি। তার পরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইডি সারদাগোষ্ঠীর মতই রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রিভেনসন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের তল্লাসি অভিযানে রোজভ্যালির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, যেখানে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।

.