হোমে নারকীয় অত্যাচারের শিকার কিশোরী, ২৪ ঘণ্টা এক্সকিলুসিভ
হোমের খাবার খেতে আপত্তি করেছিল এক কিশোরী। গভীর রাতে হোমের এক কর্মীর প্রস্তাব মত হোমের বাইরে যেতেও সে রাজি হয়নি। পরিণামে জুটল নৃশংস অত্যাচার। লোহার রড গরম করে পুড়িয়ে দেওয়া হল কিশোরীর গোপন অঙ্গ। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার রডের ছ্যাঁকা।
হোমের খাবার খেতে আপত্তি করেছিল এক কিশোরী। গভীর রাতে হোমের এক কর্মীর প্রস্তাব মত হোমের বাইরে যেতেও সে রাজি হয়নি। পরিণামে জুটল নৃশংস অত্যাচার। লোহার রড গরম করে পুড়িয়ে দেওয়া হল কিশোরীর গোপন অঙ্গ। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার রডের ছ্যাঁকা। সঙ্গে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার। পায়ের তলায় দেওয়া হল ইলেকট্রিক শক। পাশবিক এই ঘটনা নরেন্দ্রপুরের সংলাপ হোমে।
নোদাখালির বাড়ি থেকে এক যুবক সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তাকে উদ্ধার করে নোদাখালি থানার পুলিস। আদালতের নির্দেশে ২ জানুয়ারি সংলাপ হোমে ঠাঁই হয় ওই নাবালিকার। গত ১১ জানুয়ারির রাতে হোমের মধ্যেই এই নৃশংস অত্যাচারের শিকার হতে হয় ওই কিশোরীকে। পরিবারের লোকজনকে কিছু না জানিয়ে, আদালতকে অন্ধকারে রেখে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ওই কিশোরীকে ভর্তি করিয়ে দায় সারে হোম কর্তৃপক্ষ। কোমায় চলে যাওয়া কিশোরীর অবস্থা চুড়ান্ত সঙ্কটজনক হয়ে পড়লে হাসপাতাল থেকে খবর যায় বাড়িতে। এরপরই জানাজানি হয় বিষয়টি। ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে পরিজনেরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান নাবালিকাকে। সেখানেই কিছুটা সুস্থ হন তিনি। এখন নোদাখালির একটি নার্সিংহোমে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই কিশোরী।
নার্সিংহোমে কিশোরীর চিকিতসক জানিয়েছেন, গোপন অঙ্গ গরম রোডের ছ্যাঁকায় সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। ফলে অস্ত্রপোচার করতে হয়েছে সেখানে। শুকোয়নি শরীরের অন্যান্য অংশের পড়ে যাওয়ার ক্ষতগুলিও। হাঁটাচলা তো দুরের কথা, বিছানাতেও নড়াচড়া করতে পারবে না ওই কিশোরী। সামান্য নড়াচড়াতেই শুরু হতে পারে রক্তক্ষরণ।