বিয়ে ভাঙল নাবালিকা, অমানবিক পুলিস
এক নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেও, পাশে দাঁড়াল না পুলিস। অসহযোগিতার এই অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রাম থানার বিরুদ্ধে। টানা ৮ ঘণ্টা মেয়েটিকে থানায় দাঁড় করিয়ে রাখার পর, শেষপর্যন্ত স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের চাপে তাঁর অভিযোগ নেয় পুলিস।
এক নাবালিকা বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেও, পাশে দাঁড়াল না পুলিস। অসহযোগিতার এই অভিযোগ উঠেছে ঝাড়গ্রাম থানার বিরুদ্ধে। টানা ৮ ঘণ্টা মেয়েটিকে থানায় দাঁড় করিয়ে রাখার পর, শেষপর্যন্ত স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের চাপে তাঁর অভিযোগ নেয় পুলিস।
দিনকয়েক আগে এক মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম থানায়। অভিযোগ নেওয়ার আগে ওই মহিলার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট আনতে বলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার বিয়ের অভিযোগ জানাতে আসা এক নাবালিকাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম থানার বিরুদ্ধে। নতুনডিহির বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রিয়া চৌধুরীর বিয়ে ঠিক করেন তাঁর বাবা। কিন্তু, বছর ১৭র শ্রিয়া বিয়ে করতে রাজি হয়নি। শুরু হয় মারধর, অত্যাচার। শেষপর্যন্ত রবিবার তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন পরিবারের সদ্যরা। শ্রিয়া ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁকে চরম হেনস্থা করে পুলিস।
বাড়ি ফিরে গেলে সমস্যা হতে পারে সেই ভয়ে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত থানাতেই দাঁড়িয়ে ছিল শ্রিয়া। জেলার এসপি একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও কেন এক নাবালিকাকে এই হেনস্থা প্রশ্ন তুলেছেন মহিলা সংগঠনের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের চাপে পড়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর অভিযোগ নেয় ঝাড়গ্রাম থানা।