ভাঙলেও মচকালেন না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ইটাহার কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করা হয়েছে। মানলেন শিক্ষামন্ত্রী। টুকলি যে হচ্ছিল সেটাও মানলেন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, গোটা ঘটনায় ইন্ধন ছিল। শিক্ষা দফতরের রিপোর্টে সে কথা আছে বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। সরাসরি না বললেও ইন্ধনটা যে অধ্যক্ষার ছিল সেটাই বলতে চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ইটাহার কলেজে অধ্যক্ষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, মানলেন শিক্ষামন্ত্রী। সঙ্গে সামনে আনলেন ইন্ধন তত্ত্ব।
ইন্ধনটা কে দিয়েছিল? বলেননি শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য যে কলেজের অধ্যক্ষা সেটা স্পষ্ট। শিক্ষামন্ত্রী আবার বললেন, টুকলি হচ্ছিল।
তাহলে টুকলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই কি কলেজের অধ্যক্ষা গোলমালে ইন্ধন জুগিয়েছেন বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী? অধ্যক্ষা গোলমালে ইন্ধন জোগালে,তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নিরুত্তর শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রীর নীরবতা প্রশ্ন তুলছে, সত্যি কি শিক্ষা দফতরের রিপোর্টে ইন্ধন তত্ত্বের কথা আছে? নাকি নেত্রীকে খুশি রাখতেই শিক্ষামন্ত্রী শোনাচ্ছেন ইন্ধন তত্ত্ব? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন মন্ত্রীরা বারবার তো তোপ দেগেছেন নিগৃহীতা অধ্যক্ষার বিরুদ্ধেই। টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন জেলা তৃণমূল নেতা গৌতম পালের স্ত্রী। অধ্যক্ষার উপর হামলাতেও মূল অভিযুক্ত গৌতমবাবু। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, গৌতম পালকে গ্রেফতার করবে না পুলিস। দলের তেমনই নির্দেশ। সব মিলিয়ে স্পষ্ট শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব আর নেত্রীর মর্জি পূরণ---দুটো কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে অসহায় নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী।
ইটাহার কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ, টুকলির কথা মানলেও শিক্ষামন্ত্রী সঙ্গে আনলেন `ইন্ধন` তত্ত্ব