ওয়েব ডেস্ক: জেলা কালিম্পংয়ের পথ চলা শুরু। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে, উন্নয়নের লম্বা লিস্ট। প্রথম দিনেই ঘোষিত, একগুচ্ছ কর্মসূচি। উন্নয়নের সঙ্গে, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কেউ আগুন জ্বালাতে চাইলে, বরদাস্ত নয়। পাহাড়ে দাঁড়িয়েই, নাম না করে কড়া হুঁশিয়ারি মোর্চা-বিজেপিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাঙার সঙ্গে গড়ার খেলা। দার্জিলিং ভেঙেই, জন্ম নিল কালিম্পং। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল মঙ্গলবার। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যেই, যথেষ্ট সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর গলায় এদিন শোনা গেল, আগুনে বার্তা। ভাষণে আগাগোড়া, অশান্তির আগুন রোখার ডাক। একইসঙ্গে জোর, উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে।


আরও পড়ুন আজ রাজ্যের একুশতম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে কালিম্পং


কালিম্পংকে জেলা ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, ঘোষিত হল একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি। সেবক থেকে সিকিম সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কথা এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পথ-প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। জলসঙ্কটের কথা মাথায় রেখে, কালিম্পংয়ের জন্য নতুন জলপ্রকল্পও ঘোষিত হল এদিন। এজন্য রাজ্যের তরফে প্রাথমিক বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা। পর্যটনের দিকেও বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। লাভা-লোলেগাঁওয়ের রাস্তার অবস্থা ভাল করার দিকে জোর দেওয়া হবে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে IT ইন্ডাস্ট্রি সহ আরও শিল্প সম্ভাবনার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে আকর্ষণীয় কম দামে ইনটেক্স-র নতুন স্মার্টফোন


এবছরই এপ্রিলে পাহাড়ে ভোট। রাজনৈতিক মহলের মত, তার আগে কালিম্পংকে নতুন জেলা ঘোষণা করে, পালে হাওয়া টানার কৌশল নিল তৃণমূল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণেও তারই আঁচ। লক্ষ্য, পলিটিকাল মাইলেজ। কালিম্পংয়ে বসেই, পাহাড়ে কাজ নিয়ে জিটিএ-কেও খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর। তুলে ধরেন রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতা। গলায় আক্ষেপের সুর। মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলাভাগের মধ্যে অবশ্য, উন্নয়ন নয়-রাজনীতির খেলা দেখছে বামেরা। 


এদিনের অনুষ্ঠানে বিমল গুরুং নিজে না এলেও,  প্রতিনিধি অবশ্য পাঠানো হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে। সুভাষ ঘিসিংয়ের ছেলে ছাড়াও, নিহত গোর্খা লিগ নেতা মদন তামাংয়ের স্ত্রী ভারতী তামাংও মঞ্চে ছিলেন।