টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপর্যস্ত কালিম্পংয়ের জন জীবন
একটানা বৃষ্টিতে ফের ধস নামল কালিম্পংয়ে। ধস নেমেছে কালিঝোরার কাছে ৩১ এ জাতীয় সড়কে। প্রথম ধস নামে গতকাল রাতে। এরপর দফায় দফায় দিনভর ধস নামতেই থাকে। দুপুরে নতুন ধস নামে সেবকের মংপংয়ে। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে ধস সরানোর কাজ।
ব্যুরো: একটানা বৃষ্টিতে ফের ধস নামল কালিম্পংয়ে। ধস নেমেছে কালিঝোরার কাছে ৩১ এ জাতীয় সড়কে। প্রথম ধস নামে গতকাল রাতে। এরপর দফায় দফায় দিনভর ধস নামতেই থাকে। দুপুরে নতুন ধস নামে সেবকের মংপংয়ে। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে ধস সরানোর কাজ।
একটানা প্রবল বর্ষণের জের। শুক্রবার রাতে ধস নামে কালিম্পং ডিভিশনের কালিঝোরার কাছে একত্রিশ এ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর। খবর পেয়ে রাতেই ধস সরানোর কাজে নামেন বর্ডার রোড অর্গানাইজেশানের কর্মীরা। শনিবার সকালেও জারি রয়েছে রাস্তা সরানোর কাজ। তবে যতবারই রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে ততবারই নতুন করে ধস নামায় ব্যাহত হয়েছে কাজ। ঘটনার জেরে গোটা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আটকে পড়েন পর্যটকরা। একটি মাত্র বিকল্প রাস্তা খোলা রয়েছে। শিলিগুড়ি হয়ে গজলডোবা, ওদলাবাড়ি, রংপু হয়ে ঘুরপথে সিকিম পৌছতে হচ্ছে। এদিকে কালিঝোরার যেখানে ধস নেমেছে তার ঠিক ওপরেই রয়েছে লাদপাঞ্চার নামে একটি গ্রাম। ওই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে একত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে সেবকের মংপংয়ে ধস নামে। ধসে পনেরো মিটার রাস্তা তলিয়ে যায় তিস্তায়। ঘটনার পরই যুদ্ধকালীন তত্পরতায় রাস্তা সারাইয়ের কাজে নামে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
ধস নামায় সড়কের একধার দিয়ে কোনওরকমে জারি রয়েছে যানবাহন চলাচল। ডুয়ার্স থেকে বেশিরভাগ গাড়ি গজলডোবা হয়ে নতুন সড়কপথ দিয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছে। আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যাবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।