প্রেম প্রত্যাখ্যান করার সাহস দেখিয়েছিল মেয়েটি, প্রতিদানে আগুনে পুড়িয়ে দিল প্রেমিক
প্রেম নিবেদন করেও সাড়া মেলেনি। সেই রাগে স্কুলছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে দিল এক যুবক। নদিয়ার কল্যাণীর মাঝেরচর এলাকায় গতকাল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই কিশোরী। অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।
প্রেম নিবেদন করেও সাড়া মেলেনি। সেই রাগে স্কুলছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে দিল এক যুবক। নদিয়ার কল্যাণীর মাঝেরচর এলাকায় গতকাল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই কিশোরী। অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।
এক মুহূর্তে জীবন যে কীভাবে বদলে যেতে পারে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এখন হয়তো এটাই ভাবছে এই কিশোরী। চারদিকে উত্সবের আমেজ। কয়েকদিন বাদেই আসবে নতুন বছর। অথচ তার আগেই বিকৃত মানসিকতার আগুনে ছারখার হয়ে গেল আটপৌরে ছন্দে চলা জীবন।
পরিবারে অভাব ছিল। কিন্তু সে অর্থে অশান্তি ছিল না। কষ্টের মধ্যেও চলছিল পড়াশুনো। মঙ্গলবার দুপুরে বাবা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মা-ও চলে গিয়েছিলেন অন্যের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতে। নির্জন ঘরে রান্না করছিল ক্লাস নাইনের এই ছাত্রী। অভিযোগ, তখনই এক যুবক ঘরে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে সে আগুন লাগিয়ে দেয়। মেয়েটি চিত্কার শুরু করতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। প্রতিবেশীরা এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাবুলাল দাস, স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তরুণীর শরীরের ১০০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। রয়েছে জীবনসঙ্কট। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নবম শ্রেণির এই স্কুলছাত্রী এখনও ভেবে পাচ্ছেন না, তার সঙ্গে কেন এমনটা ঘটল। শরীর জুড়ে পোড়ার ক্ষত। অসহ্য যন্ত্রণা। তার মধ্যেও কিশোরী জানিয়েছে, সোনাই গাঙ্গুলি নামে এক যুবক তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই এমন কাজ করেছে সোনাই।
ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা সোনাইকে চেনেন না। কেনই বা সে মেয়ের ওপর হামলা চালাল, তাও তাঁদের কাছে অজানা। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।