চোখ বন্ধ করে ভরসা করুন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এখন এটাই স্লোগান
চোখ বন্ধ করে ভরসা করুন। জেলা ঘুরে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এখন এটাই স্লোগান। কখনও তোপ দাগছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কখনও তাঁর কোপের মুখে বামেরাও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যেন একটাই আর্তি ভরসা রাখুন তাঁর ওপরে।
ওয়েব ডেস্ক: চোখ বন্ধ করে ভরসা করুন। জেলা ঘুরে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এখন এটাই স্লোগান। কখনও তোপ দাগছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কখনও তাঁর কোপের মুখে বামেরাও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যেন একটাই আর্তি ভরসা রাখুন তাঁর ওপরে।
বর্ধমানের মঙ্গলকোট। জাঁকজমক অনুষ্ঠান। ঝাঁ চকচকে মঞ্চ। অসংখ্য তোরণ। সামনে কয়েক হাজার দর্শক। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দু দুটো হেলিপ্যাড। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় এক কোটি ছুঁই ছুঁই। মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে বর্ধমান জেলার তাবড় তাবড় বিধায়কদের উপস্থিতি। কিন্তু অতসবের পরেও কোথাও কি আস্থায় ঘাটতি? তা না হলে দর্শকাসনের সামনে দাঁড়িয়ে কেন মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে হল, ভরসা রাখুন তাঁর ওপরই।
নদিয়া, হাওড়ার পর বর্ধমান। জেলাসফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিলি হচ্ছে সাইকেল। আরও অসংখ্য সামগ্রী। ভোটের আর মেরেকেটে ছ-মাস বাকি। মুখ্যমন্ত্রী শুরু করলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে।এক ফাঁকে বিরোধীদের মুখে ফের লিউকোপ্লাস্ট আটকে দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বছরজুড়ে খেলা আর মেলার তালিকায় নতুন সংযোজন মহাকরণের সামনে লালদিঘির পাড়ে সাতদিন ধরে লোকসংস্কৃতীর অনুষ্ঠান। সবই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় তাগিদ যেন ছিল নিজের সারকারের সাফল্য তুলে ধরা। বিধানসভা ভোটের আগে সভা-সমাবেশ-জাঠার মাধ্যমে শক্তি বাড়াচ্ছে বামেরা। এই অবস্থায় সরকারি অনুষ্টানগুলির মঞ্চই হয়ে উঠছে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। বার্তা যেন একটাই। দুহাত ভরে নাও, ভোটটাও দাও।