ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সাহায্যের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
নাগরিক সমাজকে আর অবজ্ঞা নয়, তাঁদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর দুদিন বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল কলকাতার রাজপথ। সেই প্রতিবাদকে প্রথমে তাচ্ছিল্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ কিন্তু বাঁকুড়ায় বিশিষ্টজনেদের কাছে সামাজিক ব্যাধি ধর্ষণ বন্ধ করতে সাহায্যে আর্জি জানালেন তিনি। বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নাগরিক সমাজকে আর অবজ্ঞা নয়, তাঁদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরপর দুদিন বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল কলকাতার রাজপথ। সেই প্রতিবাদকে প্রথমে তাচ্ছিল্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ কিন্তু বাঁকুড়ায় বিশিষ্টজনেদের কাছে সামাজিক ব্যাধি ধর্ষণ বন্ধ করতে সাহায্যে আর্জি জানালেন তিনি। বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার কামদুনি কাণ্ডসহ নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কামদুনির গ্রামবাসী যোগ দেন মিছিলে। তারপরই শনিবার বদলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর সুর। মমতা বলেন, আমার অনুরোধ সবাই সামাজিক সাহায্য করুন। কিন্তু, দুদিনের ফারাকে হঠাত্ সুর বদলালো কেন?
শুক্রবার প্রতিবাদী মিছিলে মানুষের ঢল দেখেই কী সুর নরম হল? একসময়ে যে বুদ্ধিজীবীরা পাশে ছিলেন তাঁরাই এখন অন্যকথা বলছেন।
অপর্না সেন বলেছিলেন, "এটা খুব লজ্জার যে আমাদের রাজ্য নারী নির্যাতনে পয়লা নম্বরে আছে। আমরা এই মুখ্যমন্ত্রী মধ্যে অনেক ভালদিক দেখেছিলাম। আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তিনি ছুটে যেতেন। কিন্তু আজকে কী হচ্ছে!!"
শুধুই কী বুদ্ধিজীবীদের চাপ? নাকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাহসী মানুষের প্রতিবাদ কিছুটা থমকে দিল মুখ্যমন্ত্রীকে?
শনিবার রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা কমাতে চেয়ে একদিকে বুদ্ধিজীবীদের সাহায্য চেয়েছেন। অন্যদিকে, তিনিই দাবি করেছেন রাজ্যে দু একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তাতে উদ্বেগের কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য একইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শুধু বুদ্ধিজীবীদের জন্য রাজ্য রাজনৈতিক পালাবদল হয়নি।