ইসকোর আধুনিকীরণের কৃতিত্ব দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, ইতিহাস বলছে অন্যকথা
ইসকোর আধুনিকীকরণের কৃতিত্ব তাঁরই। দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকার জমি না দিলে প্রকল্পই হত না। কিন্তু ইতিহাস দিচ্ছে অন্য তথ্য। বামেদের অভিযোগ, প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছিলেন মমতাই।
ব্যুরো: ইসকোর আধুনিকীকরণের কৃতিত্ব তাঁরই। দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকার জমি না দিলে প্রকল্পই হত না। কিন্তু ইতিহাস দিচ্ছে অন্য তথ্য। বামেদের অভিযোগ, প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছিলেন মমতাই।
একসঙ্গে কাজ করায় গুরুত্ব দিচ্ছেন দুজনেই। কিন্তু, সাফল্যের কৃতিত্ব কার? আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করলেন ইসকোর সম্প্রসারণের কৃতিত্ব তাঁরই।
কিন্তু ইতিহাস সে কথা বলছে না। বাম আমলে ইসকোর আধুনিকীকরণে উদ্যোগী হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে বাড়তি ক্ষতিপূরণ দাবি করে তৃণমূল। দুহাজার সাতের উনত্রিশে জুন বার্নপুরে আন্দোলনের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে শেষ হয় জমি অধিগ্রহণ। পালাবদলের পরেও প্রায় ছমাস লেগেছিল জমি সমস্যা কাটতে। যদিও তখন সম্পূর্ণ অন্য ভূমিকা নিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১০-এর ইসকোর আধুনিকীকরণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জমি আন্দোলনে নষ্ট হয়েছে প্রায় পাঁচ বছর। প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। অবশেষে শেষ হওয়া এই প্রকল্প সত্যিই কারও কৃতিত্বের দাবি রাখে?