আজ থেকে পাঁচদিনের পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনের সঙ্গে পার্টিকেও গুরুত্ব মমতার
পাঁচদিনের সফরে আজ পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল চারটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সন্ধেয় শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক। ২৩ তারিখ সকালে পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাঁচদিনের সফরে আজ পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল চারটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। সন্ধেয় শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক। ২৩ তারিখ সকালে পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই দিন দুপুরেই কার্শিয়ংয়ে লেপচা বোর্ডের এক জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। ২৪ তারিখ দার্জিলিংয়ের ম্যালে তৃণমূলের প্রথম জনসভায় যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই জনসভাকে সামনে রেখেই পাহাড়ে কুড়ি হাজার সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। তারপরের দিন অর্থাত্ ২৫ তারিখ জিটিএ-র বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ তারিখ ডুয়ার্সের মাটিগাড়ায় প্রশাসনির কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিনই কলকাতা ফিরবেন তিনি।
এদিকে মোর্চা সুর নরম করায় এবার পাহাড় সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। পাহাড় সফরের মাঝেই আগামী পঁচিশে অক্টোবর জিটিএর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন একথা। মোর্চাকে আলোচনা ফিরতে বাধ্য করা রাজ্য প্রশাসনের বড় সাফল্য। বলছে রাজনৈতিক মহল।
হাসিখুশি পাহাড়ের গর্বটা ভেঙে গিয়েছিল এই বছরের গোড়াতেই। জিটিএ-র এক সভায় গোর্খাল্যান্ডের পোস্টার দেখে রাফ অ্যান্ড টাফ বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তেলেঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ে ফের চাগাড় দিল গোর্খাল্যান্ডের দাবি। জিটিএ থেকে পদত্যাগ করে আন্দোলনের ডাক দিলেন বিমল গুরুং। আর আবার রাফ অ্যান্ড টাফ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের পদক্ষেপ অনেক কৌশলী। মোর্চার মোকাবিলায়, পনেরোশো আধাসেনার পাশাপাশি পাহাড়ে পৌঁছল উন্নয়নের বার্তা।
তিনটি মহকুমা সচল রাখতে পাঠানো হল স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে দুঁদে পুলিসকর্তাকে। আর মোর্চাকে ফেলা হল দ্বিমুখী চাপের মুখে। একদিকে পুরনো মামলায় মোর্চা নেতাদের গ্রেফতার, গরহাজির সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার মতো পদক্ষেপ। অন্যদিকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ও ঢালাও রেশন বণ্টনের মধ্য দিয়ে আমজনতাকে কাছে টানার চেষ্টা।
দিল্লিতে বারবার দূত পাঠিয়েও সহযোগিতা মেলেনি। বিমল গুরুংদের আন্দোলনকে বেআইনি বলল কলকাতা হাইকোর্টও। রাজ্যের জোড়া কৌশলে ক্রমশ তীব্রতা হারাতে থাকে মোর্চার আন্দোলন। স্নায়ুর লড়াইয়ে প্রথম রাউন্ডে মোর্চাকে হারানোর পর, দ্বিতীয় রাউন্ডেও অ্যাডভান্টেজ মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের দৃঢ়তাতেই জিটিএতে ফিরতে বাধ্য হয়েছে মোর্চা। পদত্যাগী বিমল গুরুংয়ের জায়গায় প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিনয় তামাংকে। আবার রাজ্যের দাবি মতো জিটিএ চালু রাখতে জেলবন্দি বিনয় তামাংয়ের জায়গায় সোমবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপ্রধান রমেশ আলেকে। স্নায়ুর যুদ্ধে অনেকটাই জিতে থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর জিটিএর বৈঠকেও যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নয় সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন জিটিএ সদস্যদের আহ্বানে সাড়া দিয়েই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন তিনি।