এনআরএস-এর ছায়া বিশ্বভারতীতে, চোর সন্দেহে যুবককে হস্টেলে বেধড়ক মারধর পড়ুয়াদের
NRS-এর ছায়া এবার বিশ্বভারতীতে। চোর সন্দেহে হস্টেলে যুবককে বেধড়ক মারধর করলেন ছাত্রেরা। পুলিস গেলে তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়নি অভিযুক্তকে। পরে হস্টেলে আর চুরি হবে না , এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। চুরি যাচ্ছে মোবাইল থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, টাকা। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছিলেন বিশ্বভারতীর একাধিক বয়েজ হস্টেলের আবাসিকরা। শনিবার ভোরে হস্টেলে সন্দেহজনকভাবে এক যুবককে ঘুরতে দেখে তাকে ধরে ফেলেন আবিসকরা। এরপরই চোর সন্দেহে শুরু হয় গণধোলাই।
ব্যুরো: NRS-এর ছায়া এবার বিশ্বভারতীতে। চোর সন্দেহে হস্টেলে যুবককে বেধড়ক মারধর করলেন ছাত্রেরা। পুলিস গেলে তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়নি অভিযুক্তকে। পরে হস্টেলে আর চুরি হবে না , এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। চুরি যাচ্ছে মোবাইল থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, টাকা। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছিলেন বিশ্বভারতীর একাধিক বয়েজ হস্টেলের আবাসিকরা। শনিবার ভোরে হস্টেলে সন্দেহজনকভাবে এক যুবককে ঘুরতে দেখে তাকে ধরে ফেলেন আবিসকরা। এরপরই চোর সন্দেহে শুরু হয় গণধোলাই।
খবর পেয়ে হস্টেলে পৌছয় পুলিস। কিন্তু ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। পরে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে আটকে রাখেন আধিকারিকের ঘরে। সেখানে নজরদারি ছিল ছাত্রদের। জেরায় চুরির কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক।
শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।
বিশ্বভারতীর এই ঘটনায় রয়েছে এনআরএসকাণ্ডের ছায়া। চোর সন্দেহে কোরপান শাহকে হস্টেলে পিটিয়ে মেরেছিলেন ডাক্তারির ছাত্ররা। এবার চোর সন্দেহে গণধোলাই বিশ্বভারতীর বয়েজ হস্টেলে। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকাও।
হস্টেলে পৌছেও কেন ছাত্রদের বাধার মুখে ফিরে এল পুলিস? কেন আইনরক্ষক হিসাবে দায়িত্ব এড়িয়ে গেল তারা?
ছাত্ররাই বা কেন অভিযুক্তকে পুলিসের হাতে তুলে না দিয়ে গণধোলাইয়ের রাস্তা বেছে নিলেন ?
তাহলে কি আইনশৃঙ্খলার রক্ষক হিসাবে পুলিসের ওপর আস্থা কমছে ? বিশ্বভারতীর ঘটনা কিন্তু সেই প্রশ্নকেই সামনে এনে দিল।