পদ্মে পানি নেই দেখে ফের জার্সি বদলাতে দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ
দলবদলের রাজনীতি কত প্রকারের হতে পারে। তার আরও একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। ছেলে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ে হারতেই, ফের পুরনো দলে ফিরতে উদ্যোগী প্রাক্তন মন্ত্রী। রীতিমতো মুচলেখা দিয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: দলবদলের রাজনীতি কত প্রকারের হতে পারে। তার আরও একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। ছেলে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ে হারতেই, ফের পুরনো দলে ফিরতে উদ্যোগী প্রাক্তন মন্ত্রী। রীতিমতো মুচলেখা দিয়ে।
সেদিন ছিলেন বিদ্রোহী। বিজেপিতে যোগ পর তার তোপ থেকে বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রীও। রাহুল সিনহার সঙ্গে প্রেস কনফারেন্সে মঞ্জুল বলেছিলেন, মমতা ডিক্টেটরশিপ চালান।
উদ্দেশ্য ছিল একটাই। তার ছেলেকে বনগাঁ উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী করা। মন্ত্রীত্ব ছেড়ে কোমরবেধে নেমে পড়ছিলেন। কারণ তার ধারণা ছিল ভোটে ছেলে জিতছেই। কিন্তু ফল বেরোতেই দেখা গেল সবটাই ভোভা। জেতা তো দূরের কথা। তিন নম্বরে নেমে যায় বিজেপি। তারপরই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে সচতুর মঞ্জুল। আপ পদ্ম দূরে সরিয়ে ছেলে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসার কাজে। কিন্তু একবার মন্ত্রীত্বের স্বাদ পাওয়া মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের পক্ষে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ঘন ঘন চিঠি দিতে থাকেন ছেড়ে আসা দলকে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে, কখনও দলের মহাসচিবকে।
আজ মঞ্জুল বললেন, আমি ভুল করেছি, বলেছি...। বুধবার এসেছিলেন বিধানসভায়। স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তৃণমূলেই আছেন। ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, উনি ক্ষমা চেয়েছেন, দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মঞ্জুলের আশা দল তাঁকে ফিরিয়ে নেবে।