মাও আতঙ্ক ফের নতুন করে ছড়াচ্ছে পুরুলিয়াতেও
জঙ্গলমহলে ফিরছে মাওবাদী আনাগোনার ছায়া। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় তার আভাস ইতিমধ্যে দেখিয়েছি আমরা। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পুরুলিয়াতেও। কিন্তু কেন?
ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গলমহলে ফিরছে মাওবাদী আনাগোনার ছায়া। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় তার আভাস ইতিমধ্যে দেখিয়েছি আমরা। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পুরুলিয়াতেও। কিন্তু কেন?
ঘাটবেড়া, কেরুয়া থেকে বান্দোয়ান, ঝালদা। দুঃস্বপ্নের সেইসব স্মৃতি এখনও দগদগে। মাওবাদী হানার বলি হয়েছেন ওসি থেকে শুরু করে সিপিআইএম নেতারা। পুরুলিয়ার মাটি রক্তাক্ত হয়েছে বারবার।
রাজ্যে পরিবর্তনের পর অযোধ্যা পাহাড় এলাকা থেকে উধাও হয় আতঙ্ক। ঘাটবেড়া, কেরুয়ার রুক্ষ মাটিতে লাগে উন্নয়নের ছোঁয়া। ধীরে ধীরে গতি পায় পঞ্চায়েতের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড । কিন্তু ফের ছন্দপতন। বান্দোয়ান কিংবা অযোধ্যা পাহাড়ের ইতিউতি, পুরুলিয়ার জঙ্গলঘেরা জনপদে ফের অশান্তির আভাস।
সম্প্রতি বলরামপুর, ঘাটবেড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ফের দেখা গেছে মাওবাদী পোস্টার। পোস্টারে ছিল অনুন্নয়নের অভিযোগ থেকে শুরু করে শাসক দলকে হুমকি। দ্রুত সেইসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে পুলিস। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্পরতাও বাড়ানো হয়েছে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, মাওবাদীরা কি ফিরছে আবার?
সম্প্রতি শাসক দলের আঞ্চলিক অফিসের গায়েও পোস্টার মারে মাওবাদীরা। ফের সক্রিয় পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি। ছত্রধর মাহাতর সাজা ঘোষণার পর কমিটির নড়াচড়া আরও স্পষ্ট হয় এ তল্লাটে। একই ইস্যুতে মাওবাদীদের ডাকে বনধে সাড়া দেখে ফের আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন শাসক দলের নেতারা ।
তবে শুধু গণ প্রতিরোধের ভরসায় না থেকে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও অনুন্নয়নের ধুয়ো তুলে মাওবাদীরা ফেরার পথ খুঁজছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর। বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীদের বিক্ষিপ্ত আনাগোনার খবরও স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিস।