নরমে-গরমে রাজ্যে সাঙ্গ হল পুরভোটের পালা
উত্তর থেকে দক্ষিণ। দিনভর ঘুরে বেড়াল চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরা। ধরা পড়ল অশান্তি-অনিয়মের হরেক ছবি। ইংরেজবাজার পুরসভার ন-নম্বর ওয়ার্ডের হরিভূষণ দাস স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভোটারের কষ্ট লাঘব করতে শাসকদলের কর্মীই টিপে দিলেন বোতাম। সঙ্গতে প্রিজাইডিং অফিসার।
ব্যুরো: উত্তর থেকে দক্ষিণ। দিনভর ঘুরে বেড়াল চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরা। ধরা পড়ল অশান্তি-অনিয়মের হরেক ছবি। ইংরেজবাজার পুরসভার ন-নম্বর ওয়ার্ডের হরিভূষণ দাস স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভোটারের কষ্ট লাঘব করতে শাসকদলের কর্মীই টিপে দিলেন বোতাম। সঙ্গতে প্রিজাইডিং অফিসার।
মুর্শিদাবাদ পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষে জড়াল কংগ্রেস ও তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের লাইনে টাকা বিলি করছিল কংগ্রেস।
কান্দিতে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ। এখানেও কংগ্রেসের সঙ্গে মারামারিতে জড়াল তারা।
রামপুরহাট পুরসভার দু-নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীর ক্যাম্প অফিসে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা।
মেমারির চার নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগে মার খেলেন তৃণমূল প্রার্থী স্বপন ঘোষাল। কাঠগড়ায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের গাড়িও ভাঙচুর হয়।
তমলুক পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে পুলিসের সামনেই তৃণমূলে-নির্দলে বেধে গেল মারামারি। ইভিএমে নির্দল প্রার্থীর নামের পাশে কালি লাগানোর অভিযোগে গোলমালের শুরু।
চন্দ্রকোনা পুরসভার দু-নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির অফিসে ভাঙচুর চলল।
ভোট দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগে রাস্তায় ছুরি, কাটারি, শাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন নির্দল সমর্থকরা। এ ছবি বজবজ পুরসভার তেরো নম্বর ওয়ার্ডে।
বসিরহাটের কেনারাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের মারধরের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বিক্ষোভ হঠাতে লাঠি চালাল পুলিস। একাধিক বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে ভ্যাবলা স্টেশন অবরোধ করলেন বিরোধীরা।
বুথ যেন মাছের বাজার। অবাধে চলছে ভোট লুঠ। কেড়ে নেওয়া হয়েছে কমিশনের ক্যামেরা। দুষ্কৃতীদের সামনে নিরুপায় পুলিসও। দমদম পুরসভার ষোলো নম্বর ওয়ার্ডের স্বামীজি বিদ্যামন্দিরে ধরা পড়ল এই ছবি।
দুই পুরসভাতেই ভোট হল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু, বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট দিতে পারলেন না অধিকাংশ ভোটার। নিঃশব্দে
দিনভর এলাকা দাপিয়ে বেড়ালেন বহিরাগতরা। বুথ দখল করে ভোটটাও তাঁরাই দিলেন। চুপচাপ দেখল পুলিস।