রাজ্য বিধানসভায় নতুন বিল, বদলে যাচ্ছে শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার পদ্ধতি
মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার আর ম্যানেজিং কমিটির থাকছে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদই সরাসরি নিয়োগপত্র দেবে শিক্ষককে। শিক্ষকের বদলির বিষয়টিও দেখবে পর্ষদই। আজই এই মর্মে বিল আসছে রাজ্য বিধানসভায়।
ওয়েব ডেস্ক: মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার আর ম্যানেজিং কমিটির থাকছে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদই সরাসরি নিয়োগপত্র দেবে শিক্ষককে। শিক্ষকের বদলির বিষয়টিও দেখবে পর্ষদই। আজই এই মর্মে বিল আসছে রাজ্য বিধানসভায়।
১৯৬৩ সালের মাধ্যমিক শিক্ষা আইনে সংশোধন। রাজ্য বিধানসভায় নতুন বিল। বদলে যাচ্ছে শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার পদ্ধতি। এতদিন স্কুল সার্ভিস কমিশন কোনও শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করত। সুপারিশের চিঠি নিয়ে স্কুলে যেতেন ওই শিক্ষক। শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র দিত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি।
আরও পড়ুন সদস্যপদের পর এবার প্রার্থীপদেও মোবাইল সার্ভিস বিজেপির
রাজ্য সরকারের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অবকাশ ছিল। অনেকক্ষেত্রে, কমিশনের সুপারিশ সত্ত্বেও ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগপত্র দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার নিয়ম বদল। নতুন আইন অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে। সেই সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষককে সরাসরি নিয়োগপত্র দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে শিক্ষকদের বরখাস্ত করার ক্ষমতাও কার্যত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতেই চলে যাচ্ছে। নিয়োগের পাশাপাশি শিক্ষকের বদলির অধিকারও দেওয়া হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে।
আরও পড়ুন আইপিএলে নয়া নিয়ম, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকছে ইডেনেও
বিলে দুটি বিষয়েরই উল্লেখ রয়েছে। এতে শিক্ষায় রাজনীতি কমবে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। বিরোধীদের দাবি ঠিক উল্টো। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই রাজ্য সরকার এই বিল নিয়ে আসছে। কারণ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গত কয়েক বছর নির্বাচন হয়নি। সরকার মনোনীত ব্যক্তিই পর্ষদ নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে পর্ষদ স্বশাসিত সংস্থা হলেও তাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণই রয়েছে। পর্ষদের হাতে নিয়োগের ক্ষমতা তুলে দিয়ে, সরকার কার্যত সেই ক্ষমতা নিজের হাতেই রাখল।
এর আগে আইন করে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ নিজের হাতে রেখেছে রাজ্য। স্কুলগুলির ক্ষেত্রেও শিক্ষা দফতর সেই পথেই হাঁটল বলে অভিযোগ বিরোধীদের।