পাহাড়ের অনড় আন্দোলন: ইদ পালন হবে না, কাল হয়তো আরও জটিল পরিস্থিতি
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যেও। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বন্ধের সমর্থনে প্রয়োজনে এ বছর ইদ পালন করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যেও। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বন্ধের সমর্থনে প্রয়োজনে এ বছর ইদ পালন করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
কড়া হাতে বনধ মোকাবিলার পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। তবে তার সামনে নতিস্বীকারে নারাজ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার ডাকা বনধে ইতিমধ্যেই স্তব্ধ পাহাড়ের তিন মহকুমার জনজীবন। প্রথম দিন, অর্থাত্ শনিবারই দু-দুটি জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়িয়েছে মোর্চা। রবিবারও বজায় থাকল বিরোধের সুর। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাত্ সোমবার যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন মোর্চা সভাপতি।
রাজ্যকে টুকরো টুকরো করার চক্রান্ত চলছে। হিংসার রাজনীতি যাঁরা করছেন, তাঁরা ঠিক পথে ফিরে আসুন। পাহাড় পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র আজ এই মন্তব্য করেন। পরিবহণমন্ত্রীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভাল ফল করার পরেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোর্চা।
তবে শুধুই নেতৃত্ব নয়। পাহাড়ের রাস্তাতেও এখন শোনা যাচ্ছে মোর্চার চড়া সুর। প্রশাসনের কোনও চাপেই যে তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাহাড়ের সাধারণ বাসিন্দাদের অনেকেই।
পাহাড়ের আন্দোলনের আঁচ পৌঁছেছে রাজধানীতেও। দিল্লির যন্তরমন্তরে চলছে মোর্তা সমর্থকদের রিলে অনশন। পাশাপাশি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে বিজেপির দ্বারস্থ হয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গোর্খা আন্দোলনে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। আজ ফের তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ের অশান্তিতে কেন্দ্র মদত দিলে অচল করে দেওয়া হবে সংসদ।
গতকাল মহাকরণ ছাড়ার আগেও মোর্চার উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার তিনি বলেন, কড়া হাতে মোকাবিলা করার কথা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।