মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছিল না কোনও প্রাথমিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা! মৃত শিশুও
ধোঁয়ায় ঢেকেছে হাসপাতাল। প্রাণ ভয়ে স্যালাইনের বোতল হাতে ছুটছেন রোগী। প্রাণ বাঁচাতে শিশুদেরও ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে! দুজন আয়ার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জখম কমপক্ষে ৫০। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে শুধুই আতঙ্ক, হাহাকার। এদিকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে নিজের দফতরে বসে কিছু জানতে পারলেন না SDO দিব্যনারায়ণ চক্রবর্তী। জানলেন কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদমাধ্যমের ফোনে।
ওয়েব ডেস্ক : ধোঁয়ায় ঢেকেছে হাসপাতাল। প্রাণ ভয়ে স্যালাইনের বোতল হাতে ছুটছেন রোগী। প্রাণ বাঁচাতে শিশুদেরও ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে! দুজন আয়ার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জখম কমপক্ষে ৫০। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে শুধুই আতঙ্ক, হাহাকার। এদিকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে নিজের দফতরে বসে কিছু জানতে পারলেন না SDO দিব্যনারায়ণ চক্রবর্তী। জানলেন কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদমাধ্যমের ফোনে।
সিঁড়ি দিয়ে একসঙ্গে হুড়মুড়িয়ে নামার সময় রীতিমতো পদপিষ্ট হন রোগীরা। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় শিশুদের। সেখানেই পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত হয় চিকিত্সাধীন শিশু। পুরোটাই অব্যবস্থা। চারদিকে শুধু প্রিয়জনকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার আর্তি। যন্ত্রণা, আতঙ্ক, হাহাকার। হাসাপাতালে প্রাথমিক অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থাই ছিল না বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার। আর এই ঘটনাই ফের একবার স্পষ্ট করে দিল কতটা পরিকাঠামোর অভাবে ভুগছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
এদিকে ঘটনার ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে শুরুতে কারোরই কোনও হেলদোলও ছিল না। জানার পরই ঘটনার দায় নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় দমকল আর স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে। যদিও স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, "AC মেসিন থেকেই আগুন লেগেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। এই ঘটনার দায় শুধু দমকলের উপর দায় চাপালে হবে না। স্বাস্থ্য দফতরও দায় এড়াতে পারে না।"
অন্যদিকে আগুনে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। দমকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। মুর্শিবাদ মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এমনটাই জানান দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনকী কোনও মৃত্যুর খবরও নাকি তাঁর কাছে পৌঁছয়নি!