সিঙ্গাপুরের পর মুখ্যমন্ত্রীর ডেস্টিনেশন এবার সাগরদ্বীপ
সিঙ্গাপুরের পর মুখ্যমন্ত্রীর ডেস্টিনেশন এবার সাগরদ্বীপ। আগামী ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর সাগর সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সফরেই সাগরের পাশাপাশি, সুন্দরবনের পর্যটন পরিকাঠামো এবং জলপথ উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরা হবে শিল্পদ্যোগীদের সামনে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সুন্দরবনে বিনিয়োগ-সম্ভাবনার দিকগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে রাজ্যের আধিকারিকদের একটি দল। সম্ভাবনার রূপরেখা তৈরি করে ইতিমধ্যেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন।
ওয়েব ডেস্ক: সিঙ্গাপুরের পর মুখ্যমন্ত্রীর ডেস্টিনেশন এবার সাগরদ্বীপ। আগামী ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর সাগর সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সফরেই সাগরের পাশাপাশি, সুন্দরবনের পর্যটন পরিকাঠামো এবং জলপথ উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরা হবে শিল্পদ্যোগীদের সামনে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সুন্দরবনে বিনিয়োগ-সম্ভাবনার দিকগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে রাজ্যের আধিকারিকদের একটি দল। সম্ভাবনার রূপরেখা তৈরি করে ইতিমধ্যেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার পরই পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিং, দিঘা, সাগর কিংবা সুন্দরবনের মতো জায়গাগুলিতে পর্যটক টানতে জোর দিয়েছেন পরিকাঠামো উন্নয়নে। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফরেও সাগর ও সুন্দরবন সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছেন দেশি-বিদেশি বহু বিনিয়োগকারীই। শিল্পোদ্যোগীদের আগ্রহকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই এবার এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর সাগর সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে থাকছেন রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের একাধিক শিল্পোদ্যোগী। সাগরের পাশাপাশি তাঁদের সামনে তুলে ধরা হবে সুন্দরবনের বিপুল সম্ভাবনার দিকগুলি। সে সবই সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে সুন্দরবনে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্যটন সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক শান্তনু বসু-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তাঁরা ঝড়খালি, সন্দেশখালি-সহ সুন্দরবনেরর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তথ্যসমৃদ্ধ সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাঁদের রিপোর্ট থেকেও উঠে আসছে সুন্দরবন সম্পর্কে সুবিদিত তথ্যগুলিই। পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ সুন্দরবন বরাবরই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
এখানকার ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়াল বেঙ্গল টাইগারের অবাধ বিচরণ ভূমি। নদী ও খাঁড়ি সঙ্কুল সুন্দরবনে দেখা মেলে বহু বিরল জলচর প্রাণীদের। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণ। প্রাকৃতিক এই সব বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রতি বছরই সুন্দরবন সম্পর্কে খোঁজখবর করেন হাজার হাজার বিদেশি পর্যটক। কিন্তু পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের জন্য আগ্রহীদের অনেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন পৌছতেই পারেন না। সে জন্যই পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সুন্দরবনকে আর্কষণীয় করে তুলতে আরও বেশ কিছু বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
পর্যটকদের জন্য মাতলা ও বিদ্যাধরী নদীতে বিলাসবহুল ক্রুজ পরিষেবা-শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেরলের ব্যাক ওয়াটার লেকের ধাঁচে এখানেও মনোরম হাউসবোট পরিষেবা-শুরু করার কথা উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
নেতি ধোপানির ঘাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে-পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইকো ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও নয়া দিগন্ত খুলে দিতে পারে সুন্দরবন।
সুন্দরবনের বিপুল সম্ভাবনার কারণেই এখানে গড়ে উঠতে পারে বিনোদন এবং বিলাসবহুল হোটেল। সবটাই পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে করা সম্ভব বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর সফরের পরই পরিকাঠামো, পর্যটন এবং জলপথ পরিবহণে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই পথে হেঁটে সুন্দরবনে এই তিনটি ক্ষেত্রেই বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সেই সম্ভাবনাই এ বারের সফরে শিল্পদ্যোগীদের সামনে তুলে ধরতে চলেছে রাজ্য সরকার।