বৃদ্ধাশ্রমে বিদ্রোহী বৃদ্ধ। খাতে না দিয়ে তাঁকে শাস্তি দিল কতৃপক্ষ
পরিষেবার মান খারাপ। বৃদ্ধাশ্রমে থাকার বাড়তি খরচ দিতে রাজি নন। আর তাই বিদ্রোহী বৃদ্ধের খাবার বন্ধ করে দিল কর্তৃপক্ষ ! মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। বিস্কুট আর পাঁউরুটি খেয়েই দিন কাটছে সত্তোরোর্ধ্ব সব্যসাচী মুখার্জির।
ওয়েব ডেস্ক: পরিষেবার মান খারাপ। বৃদ্ধাশ্রমে থাকার বাড়তি খরচ দিতে রাজি নন। আর তাই বিদ্রোহী বৃদ্ধের খাবার বন্ধ করে দিল কর্তৃপক্ষ ! মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। বিস্কুট আর পাঁউরুটি খেয়েই দিন কাটছে সত্তোরোর্ধ্ব সব্যসাচী মুখার্জির।
চন্দননগরের রামকৃষ্ণ বৃদ্ধাশ্রম, অবহেলার শিকার বৃদ্ধ
একসময় বিদেশে চাকরি করতেন সব্যসাচী মুখার্জি। মুম্বইয়ে কিছুদিন ছিলেন পুত্র-পুত্রবধূর কাছে। তারা বেশিদিন রাখেনি। বেনারসে মেয়ের বাড়িতে গিয়েও আশ্রয় জোটেনি। অবশেষে কলকাতা। একাকী। খুঁজে নিয়েছিলেন একটি বৃদ্ধাশ্রম। একটু শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তা আর হল না। টাকা দিলেও মিলছে না খাবার। বিস্কুট আর পাঁউরুটি খেয়েই কাটাতে হচ্ছে দিন। কী তাঁর অপরাধ? বৃদ্ধাশ্রমে থাকার জন্য হঠাত্ করে বাড়িয়ে দেওয়া খরচ দিতে রাজি নন।
হঠাত্ কেন তিনি কর্তৃপক্ষের রোষের শিকার? বারবার প্রতিবাদ করছিলেন পরিষেবার মান নিয়ে।
বৃদ্ধাশ্রমের তরফে অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে। এবং তাঁদের একবগ্গা মনোভাব থেকেও নড়ছেন না।
বৃদ্ধাশ্রমের হিটলারি ব্যবস্থায় মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন সব্যসাচী মুখার্জি। সেখান থেকেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।