মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাপিয়ে গেল গ্রামের মোড়লদের নির্দেশ। অভিযোগ, ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় বীরভূমের লাভপুরের এক আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের নিদান দেয় তারা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি ওই কিশোরী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এগারো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাসি চলছে। ফের গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। এবার রীতিমতো সভা ডেকে গণধর্ষণের নিদান। আর তা দিলেন গ্রামের মাতব্বররা।
লাভপুরের সুবলপুরের আদিবাসী কিশোরীর সঙ্গে চদ্দাহা গ্রামের এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়। ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সম্পর্ককেই সহজভাবে নিতে পারেননি গ্রামবাসীরা। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামের মাতব্বরদের ডাকে সভা বসে গ্রামে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, সভায় গ্রামের মোড়লরা কিশোরীর গণধর্ষণের শাস্তির নিদান দেয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর অচেতন দেহ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে লাভপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় কিশোরীকে।
সিউড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে আদিবাসী ওই কিশোরীর পরিবার। ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিস সুপার এস সুধাকর।
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই কিশোরী ও তাঁর পরিবার। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানাল একবিংশ শতক, বীরভূমে ভিন সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের `অপরাধে` কিশোরীকে গণধর্ষণের নিদান দিল মোড়লরা, গ্রেফতার ১৩