নেই ইস্তেহার, মৌখিক প্রতিশ্রুতিই সার
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে চাকরি থেকে জমি, শিক্ষা থেকে খাদ্য, রয়েছে বিস্তর তালিকা। কিন্তু সবটাই মৌখিক, লিখিত না। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ইস্তেহারই প্রকাশ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর সভা মানেই প্রতিশ্রুতির বন্যা।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে চাকরি থেকে জমি, শিক্ষা থেকে খাদ্য, রয়েছে বিস্তর তালিকা। কিন্তু সবটাই মৌখিক, লিখিত না। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ইস্তেহারই প্রকাশ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর সভা মানেই প্রতিশ্রুতির বন্যা।
এক সভা থেকে আরেক সভায় সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে যুক্ত হয় আরও নতুন কিছু প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু শেষপর্যন্ত বহু প্রতিশ্রুতিই মিলিয়ে যায় বাতাসে। এই দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির তালিকা সত্যিই কি মনে রাখা সম্ভব? পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কীভাবে কাজ করবে তারা? তাদের মূল লক্ষ্য কী? ভোট মানেই আসলে অনেক জিজ্ঞাসা। ভোটাররাও জানতে চায় যাকে তাঁরা ভোট দেবেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে কী করবেন তাঁদের জন্য? আর সেকারণেই তৈরি হয় নির্বাচনী ইস্তেহার।
ভোট দেওয়ার আগে ভোটাররা সুযোগ পান তা পড়ে দেখার, আর সত্যিই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হচ্ছে কিনা পরবর্তী সময়ে তা মিলিয়ে দেখার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রায় একমাস আগে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বামেরা। ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেসও। ক্ষমতায় আসলে তাঁদের কর্মসূচি কী হবে, তা জানিয়ে ভোটারদের হাতে ইস্তেহার তুলে দিয়েছে বিজেপিও। এমনকী ছোট বহু রাজনৈতিক দল তাঁদের লক্ষ্য সামনে রেখে প্রকাশ করেছে ইস্তেহার। কিন্তু একমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ইস্তেহার প্রকাশ করল না, তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটারদের কাছে লিখিত কোনও প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছে শাসকদল। কেন এমন হল? তৃণমূল নেতৃত্বের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য।
কারুর মতে সময়াভাব, কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, এর কোনও প্রয়োজন নেই। কোনও নেতার আবার বক্তব্য, নেত্রীর ভাষণই তাঁদের ইস্তেহার। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রীই সবচেয়ে ভালো জানেন, কোনও প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হবে না। আর সেকারণেই কোনও প্রতিশ্রুতি লিপিবদ্ধ করতে চাননি তাঁরা। কারণ বা যুক্তি যাই হোক না কেন, একটা পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেল, যেখানে শাসকদলের তরফে প্রকাশ করা হল না কোনও নির্বাচনী ইস্তেহার।